আবু সাঈদ ফাহিম: ১৯৮১ সালে চট্টগ্রামের এক সেনা অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছিলেন, সেই অভ্যুত্থানে সামরিক আদালত ১৩ জন সেনা অফিসারকে ফাঁসি দিলেও জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হয়নি।
যে সামরিক আদালতের কাছে কথিত অভ্যুত্থানকারীদের বিচার করা হয়েছিল তাতে অভিযুক্তদের পক্ষে আইনি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছিলেন সেনা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রধান অবসর প্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ ইব্রাহিম। মেজর জেনারেল সৈয়দ ইব্রাহিম বিবিসি বাংলাকে জানায়, যে তৎকালিন কর্তৃপক্ষ ঐ সেনা আদালতকে যথাযতভাবে কাজ করতে দেয়া হয়নি। ফলে অভিযুক্তরা ন্যায় বিচার পাননি।
যে বিচারটি হয়েছিল এটা ছিল কোর্ট মার্শালের (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইন) আওতায় বিদ্রোহের বিচার হয়েছে রাষ্ট্রপতির জিয়াউর রহমান তথা কোন একটি মানুষের হত্যা করার বিচার হয়নি। সেনাবাহিনী কর্তৃক গঠন করা কোর্ট মার্শাল বিদ্রোহের বিচার করতে পারে আর বেসামরিক আদালতের বিচার ভিন্ন কিন্তু হত্যার বিচার বেসামরিক আদালতেও হতে পারে এবং কোর্ট মার্শালেও করতে পারে।
মেজর জেনারেল সৈয়দ ইব্রাহিম বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে অভিযুক্তরা ন্যায় বিচার পাননি, কোর্ট মার্শাল যতদিন চলার কথাছিল ততদিন চলতে দেয়া হয়নি। যে সকল স্বাক্ষী প্রমান করতে আমরা চেয়েছি সে গুলো হাজির করতে দেওয়া হয়নি। এবং আমি মনে করি যদি স্বাক্ষীর প্রমান সবগুলোকে আইন মতাবেক উপস্থিত করতে পারতাম তাহলে আরো অনেকে ব্যক্তি ন্যায় বিচার পেতেন।সেনা বিদ্রোহের মূল চালিকাশক্তি এবং নৈপথ্যের নায়ককে খুঁজে বের করা হয়নি কিছু লোককে বাধ্যতামূলক ফাঁসি দিয়েছে। আমি মনে করি সেই কোর্ট মার্শাল তাদের স্বাধীন বিবেচনায় কাজ করতে পারেনি। তারা একটি চালিকাশক্তিতে চালিত হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পার্লামেন্ট কোন আইন পাশ করেনি, যেটার মাধ্যমে কোর্ট মার্শালের রায়কে রিভিউ করা যায়। আমিও করছি বাংলাদেশ সেনা বাহিনী আইন রিভিউ করা প্রয়োজন।
মেজর জেনারেল সৈয়দ ইব্রাহিম বলেন, বিচারের জন্য জিয়াউর রহমানের পরিবারের যথেষ্ট চেষ্টা করেছে কিনা সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।
আপনার মতামত লিখুন :