শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ৩০ মে, ২০১৮, ০২:৩০ রাত
আপডেট : ৩০ মে, ২০১৮, ০২:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তেলাপোকার দুধ হতে পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুপার ফুড

মতিনুজ্জামান মিটু : তেলাপোকা হেলাফেলার নয়, এক বিশেষ ধরনের তেলাপোকার দুধ হতে পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুপার ফুড। এমন ধারণা ও আশার প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ প্রাণি বিজ্ঞান সমিতি।

বিজ্ঞানীদের উদ্ধতি দিয়ে বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট, সামুদ্রিক মৎস্য বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় পরামর্শক মন্মথ নাথ সরকার বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ‘প্যাসিফিক বিটেল ককরোজ’ নামের এক জাতের তেলাপোকা হতে পারে উচ্চমানের দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের উৎস। ভারতের এক দল বিজ্ঞানীর গবেষণায় এমন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

প্যাসিফিক বিটেল ককরোজ বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় তেলাপোকা অন্যান্য তেলাপোকার মত ডিম নয়, দেয় বাচ্চা। অস্ট্রেলিয়া ছাড়া আমাদের দেশসহ বিশ্বের আর কোথাও দেখা যায়না এই জাতের তেলাপোকা। তবে অস্ট্রেলিয়া থেকে এনে আমাদের দেশে এবং পৃথিবীর নানা জায়গায় ‘প্যাসিফিক বিটেল ককরোজ’ জাতের তেলাপোকা চাষ এবং উৎপাদন করা সম্ভব। ভূমিকম্প, সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়েও ক্ষুদ্র এই প্রাণি তেলাপোকা টিকে থাকতে পারে।

এধরণের পরিস্থিতিতে প্যাসিফিক বিটেল ককরোজ হতে পারে মানুষের জীবন রক্ষার অবলম্বন। প্যাসিফিক বিটেল ককরোজ তার বাচচা বা সন্তানদের জন্য তৈরী করে এক ধরনের তরল পদার্থ। যা ফ্যাট, শর্করা ও প্রোটিন এবং সব অপরিহার্য্য অ্যামিনো এসিড দিয়ে প্যাক করা থাকে। স্ফটিকের মতো দেখতে এটি দানাদার। প্রতি এক হাজার প্যাসিফিক বিটেল ককরোজ এর দানাদার পদার্থ থেকে ১০০ গ্রাম দুধ পাওয়া সম্ভব।

এই দুধ গরু বা অনন্যা দুধের চেয়ে অন্তত তিনগুণ বেশি পুষ্টিমান সম্পন্ন। এটি বিষাক্ত নয়। বিকল্প সুপার দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার হিসেবে এটি ব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তবে অভ্যাস এবং রুচি সংস্কৃতির বাধার কারণে এটি সহসাই জায়গা করে নিতে পারবে কিনা এখনই বলা যাচ্ছে না।

এছাড়া প্রতি ১০০০ প্যাসিফিক বিটেল ককরোজ পালন করে পাওয়া যাবে ১০০ গ্রাম দুধ। তাই বানিজ্যিকভাবে এটি কতটা লাভজনক হবে তাও ভেবে দেখার বিষয় হতে পারে। আমরা বাংলাদেশ প্রাণি বিজ্ঞান সমিতি বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। এব্যাপার আমরা নানা ধরনের কর্মসূচি নিতে পারি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়