আশিক রহমান: শেয়ারবাজারের ডেভেলমেন্টের প্রয়োজনে করপোরেট ইনকাম ট্যাক্স বাজেটে আরও কমানোর উদ্যোগ থাকা উচিত বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, লিস্টেড কোম্পানিগুলোর স্বার্থে করপোরেট ইনকাম ট্যাক্স বাজেটে আরও কমানো হবে বলে আশা করছি। শেয়ারবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড ইনকামের উপর যদি কিছুটা ছাড় দেয়, ট্যাক্সের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা বলছি। ডিভিডেন্ড ইনকাম এখন ফুললি ট্যাক্সেবল। সেখানে যদি সরকার কিছুটা রিলিফ দেয়, চাইলে দিতে পারে, কম ট্যাক্স দিলে হয়, যদিও সেটা সরকারের ইচ্ছে। লিস্টেড কোম্পানি শেয়ারবাজারে লিস্টেড হলে করপোরেট ইনকাম ট্যাক্স কমিয়ে দিলে তাহলে তাদের ডিভিডেন্ড দেওয়ার ক্ষমতা বাড়বে। তখন ভালো কোম্পানিগুলো লিস্টেড হতে আগ্রহী হবে, লিস্টিংয়ে আসবে। কিন্তু এখন লিস্টিং করছে না। আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড ইনকাম ট্যাক্স কমিয়ে দিলে অনেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। কারণ এখানে ট্যাক্স রিলিফ পাওয়া যায়। এখন কোনো রিলিফ নেই, সবাই ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। কোম্পানি থেকে ডিভিডেন্ড পাওয়ার পর ইনকাম ট্যাক্স শো করে পূর্ণ ট্যাক্স দিতে হয় বর্তমান সিস্টেমে।
তিনি আরও বলেন, টাকা ঢেলে শেয়ারবাজারকে উপরে তোলা বা চাঙ্গা করা সম্ভব নয়। টাকা ঢালা থেকে দূরে সরে এসে মূল কাজে যেতে হবে। ভালো কোম্পানি লিস্টিংয়ে আনতে হলে … দিতেই হবে। তা না হলে কোম্পানিগুলো বলবে, আমরা কেন যাব শেয়ারবাজারে। বাজারে গেলে তো অনেককিছু দেখাতে হয়। কোয়ার্টার্লি, অ্যানুয়েলি রিপোর্ট করতে হয়। বই ছাপাতে হয়। এজিএম করতে হয়। এসব ঝামেলার মধ্যে তারা যেতে চায় না। ওই একমাত্র ট্যাক্স রিলিফ দিলে হয়তো তারা লিস্টিংয়ে আসবে। তা না দেওয়ার কারণ গত পাঁচ-সাত বছরে একটা ভালো কোম্পানিও শেয়ারবাজারে আসেনি। ইনসেপ্টা হচ্ছে দেশের সেকেন্ড লার্জেস্ট কোম্পানি, ফার্মাসিটিক্যাল সেক্টরে। তারা কিন্তু এখনো শেয়ারবাজারে আসেনি। আমরা লাক্স সাবান কিনছি, কিন্তু লিভারব্রাদার কেন এখনো শেয়ারবাজারে আসেনি। আমাদের অনেকেই বাংলালিংকের টেলিফোন কাস্টমার। শেয়ারবাজারে বাংলালিংক নেই কেন। এই প্রশ্নগুলো কোম্পানিগুলোকে করতে গেলে বলে, আমাদের পোষায় না। পোষাতে গেলে করপোরেট ট্যাক্স কমাতে হবে। -আমাদের অর্থনীতি
আপনার মতামত লিখুন :