সুফিয়ান শুভ: বর্তমান বিশ্ব ফুটবলের উজ্জ্বল নক্ষত্র মোহাম্মদ সালাহ।
তবে তাকে নিয়ে আলোচনার রেশ এতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। বেরিয়ে আসছে নানা বিস্ময়কর তথ্য। আপনি কি জানেন, নিয়মিত কোরআন পড়া তার অভ্যাস।
লিভারপুলে অভিষেক মৌসুমটা দারুণ কেটেছে সালাহর। ৪৪ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে ১৬ গোল করিয়েছেন তিনি। ফলে তার জনপ্রিয়তা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। ফুটবলবিশ্বে কোনো মুসলিম খেলোয়াড় এত দ্রুত আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেননি। মাঠে ও মাঠের বাইরে দুই জায়গায় সমানতালে তুমুল জনপ্রিয় মিসরীয় ফরোয়ার্ড।
সালাহ একজন নিবেদিত মুসলিম। তাই ধর্মচর্চায় কোনো রাখ ঢাক করেন না। নানা ধরনের ধর্মীয় আচার পালন করতে দেখা যায় তাকে। মাঠে হরহামেশা এর প্রমাণ মেলে। প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েই মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেজদাহে অবনত হন, দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন। খেলা শুরুর আগেও দোয়া করেন। যেখানে যান সঙ্গে রাখেন পবিত্র কোরআন।
এরই মধ্যে ম্যাচ খেলতে বিমানে ভ্রমণকালে সালাহর কোরআন পড়ার ছবি প্রকাশ পেয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে কোনো জায়গায় যাওয়ার সময় তার হাতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থটির ছবিও। চাউর হয়েছে, অবসর পেলেই কোরআন পড়েন তিনি। সেটি কোনো বিমান ভ্রমণ বা যাতায়াত বা অন্য কাজের ফাকেই হোক।
কিছু দিন আগে সালাহ জানান, আমার শরীরে কোনো ট্যাটুর চিহ্ন নেই। আমি কখনও হেয়ারস্টাইল পরিবর্তন করি না। আমি জানিও না কীভাবে নাচতে হয়। এভাবেই খেলা চালিয়ে যেতে চাই।
অবশ্য এসব তথ্য আগেই ফাস হয়। তবু সেসব নিয়ে বিশ্ব ফুটবলপাড়ায় আলোচনা এখন তুঙ্গে।
গেল ২৬ মে কিয়েভে ইউরোপসেরা টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয় রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। শুরু থেকে একের পর আক্রমণে স্প্যানিশ জায়ান্টদের ব্যতিব্যস্ত রাখেন অলরেডরা। যথারীতি তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সালাহ। ম্যাচের ২৫ মিনিটে তাকে বাজে ট্যাকল করেন রামোস। এতে মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন মিসরীয় কিং।
আপনার মতামত লিখুন :