শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০১৮, ০৪:৫০ সকাল
আপডেট : ২৯ মে, ২০১৮, ০৪:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পথ রুখে দিতে পারেন ইরান, স্পেন-পর্তুগালের

সুফিয়ান শুভ: এশিয়ার ‘পাওয়ার হাউজ’ বলা হচ্ছে তাদের। বাছাই পর্বের পারফরম্যান্সের পর ইরানকে এমন বিশেষণ দিতেই পারেন ফুটবল বিশ্লেষকরা। এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছে তারা। রাশিয়ার মূল পর্বে জায়গা না পাওয়ার শঙ্কা একবারও জাগেনি তাদের। কাতারের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় দিয়ে শুরু হওয়া বাছাই পর্বে পারফরম্যান্সের ধারা সচল রেখে এগিয়ে গেছে তারা লক্ষ্যের পথে।

নিজেদের রক্ষণ এতটা শক্তিশালী রেখেছিল যে, শেষ ম্যাচের আগে কোনও প্রতিপক্ষ একবারের জন্যও বল জড়াতে পারেনি তাদের জালে। সিরিয়ার বিপক্ষে দশম ও শেষ ম্যাচে যখন গোল হজম করে ইরান, ততদিনে ২০১৮ বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। কোচ কার্লোস কুইরোস তার রক্ষণ ঠিক রেখে, কার্যকরী মাঝমাঠ ব্যবহার করে গড়ে তুলেছেন ভারসাম্যপূর্ণ এক দল। এখন বিশ্বকাপে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার পালা ইরানের।
একনজরে:
অধিনায়ক: মাসুদ শোজাই
কোচ: কার্লোস কুইরোস
ডাকনাম: টিম মেল্লি
র‌্যাংকিং: ৩৬ (জুন ৭ পর্যন্ত)
ফিরে দেখা বাছাই পর্ব:

বাছাই পর্বের দ্বিতীয় দল হিসেবে রাশিয়া বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ইরান। আয়োজক রাশিয়া এমনিতেই নিশ্চিত করেছিল মূল পর্বে, এরপর বাছাই পর্বে প্রথম দল হিসেবে ব্রাজিল নাম লেখায় ২০১৮ সালের ফুটবল মহাযজ্ঞে। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পর ইরান পায় বিশ্বকাপের টিকিট।

খুব সহজেই বাছাই পর্ব উতরে যায় ইরান। তাদের বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়ার সামান্যতম শঙ্কাও কখনও উঁকি দেয়নি। বাছাই পর্বের দশম ম্যাচে আগের একটি গোলও হজম করেনি তারা। দশম ম্যাচে এসে যখন প্রথমবার প্রতিপক্ষ তাদের জালে বল জড়ায়, ততক্ষণে বিশ্বকাপের মূল পর্ব নিশ্চিত হয়ে গেছে ‘টিম মেল্লি’র।
ইরানের বিশ্বকাপ গ্রুপ:
গ্রুপ পর্বেই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে ইরানকে। ‘বি’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও গতবারের ইউরো জয়ী পর্তুগাল। অন্য প্রতিপক্ষ আফ্রিকার বাছাই পর্বে দারুণ পারফরম করে আসা মরক্কো।
ইরানের বিশ্বকাপ সূচি:
ইরানের বিশ্বকাপ শুরু হবে মরক্বোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ১৫ জুন নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচের পর ২০ জুন মুখোমুখি হবে শক্তিশালী স্পেনের। আর ২৫ জুন গ্রুপের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল।
১৫ জুন: মরক্কো
২০ জুন: স্পেন
২৫ জুন: পর্তুগাল
সর্দার আজমুননজরে থাকবেন:

সর্দার আজমুন: ২০১৫ সালের এশিয়ান কাপের পর ইরানের সেরা ফরোয়ার্ডে পরিণত হয়েছেন আজমুন। ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড এখন খেলছেন রাশিয়ান ক্লাব রুবিন কাজানে। বিশ্বকাপ রাশিয়ায় বলে তার কাছে চাওয়া আরও বেশি। বাতাসে যেমন তিনি দুর্দান্ত, তেমনি শুটিং ও পাসিংয়েও মন জয় করে নিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীদের।
আলিরেজা জাহানবকশ: দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলতে নামছেন জাহানবকশ। নেদারল্যান্ডসের ঘরোয়া লিগে এজেড-এর হয়ে চমৎকার এক মৌসুম কাটিয়ে রাশিয়ায় নামতে যাচ্ছেন এই উইঙ্গার। গতি ও কার্যকর ২৪ বছর বয়সী এই তরুণ দুই উইংয়ের সঙ্গে স্ট্রাইকারের পেছনেও খেলতে পারেন।
ফুটবল মহাযজ্ঞে থাকছেন না:

ইরানের হয়ে ১৫১ ম্যাচ খেলেছেন জাভেদ নেকুনাম। গত বিশ্বকাপে খেলেছেন ৩৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। তবে রাশিয়া বিশ্বকাপে দেখা যাবে না তাকে। আরেক মিডফিল্ডার আন্দ্রানিক তিমোরিয়ান এ বছরে কোনও ম্যাচ খেলেননি ইরানের জার্সিতে।

শক্তি: রক্ষণভাগ।
দুর্বলতা: ফরোয়ার্ড।
ভবিষ্যদ্বাণী: গ্রুপ পর্ব।
৩৫ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: আলিরেজা বিরানবান্দ, মোহাম্মদ রশিদ মাজাহেরি, আমির আবেদজাদেহ।

ডিফেন্ডার: পেজমান মন্তাজেরি, রামিন রেজাইয়ান, মোর্তেজা পল্লিগানজী, মিলাদ মোহাম্মাদী, মোহাম্মদ রেজা খানজাদেহ, রুজবেহ চেশমি, মজিদ হোসেইনি।
মিডফিল্ডার: এহসান হাজসাফি, মাসুদ শোজাই, আশকান দেজাগাহ, ভাহিদ আমিরি, ওমিদ এব্রাহিমি, সাঈদ এজাতোহালি, মেহেদি তোরাবি, সামান ঘোদদো, আলি ঘোলিজাদেহ।

ফরোয়ার্ড: করিম আনসারিফার্দ, রেজা ঘুচনেজহাদ, আলিরেজা জাহানবকশ, সর্দার আজমুন, মেহেদি তারেমি। বাংলাট্রিবিউন

=======================================
মুস্তাফিজকে ছাড়াই টাইগারদের ভারত-যাত্রা
স্পোর্টস ডেস্ক: ২৬ মে শেরে বাংলায় সর্বশেষ দিবা-রাত্রির ম্যাচ কন্ডিশনে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলেছেন ক্রিকেটাররা। দেরাদুন যাবার আগে সেটাই ছিল জাতীয় দলের শেষ অনুশীলন। তারপর ২৭ আর ২৮ মে দুদিন ছিল বিরতি। ঘুরিয়ে বললে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত গোছগাছ তথা প্রস্তুতির পাশাপাশি আপনজনের সাথে দেখা-সাক্ষাত পর্ব শেষ করার জন্য। ২৯ মে সকাল ১০ টায় দিল্লির ফ্লাইট (ঢাকা থেকে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই, তাই জাতীয় দলের বহর দিল্লি হয়ে দেরাদুন যাবে)।

এমন অবস্থায় আগের দিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইফতার মাহফিলেও যোগদান করেন ক্রিকেটাররা। রাতে হঠাৎ মুস্তাফিজের অভিযোগ, আমার বাঁ পায়ের টো'তে (পায়ের সামনের অংশ) ব্যথা। কি আর করা? অত রাতে তো আর ফিজিও-ট্রেনারের শরনাপন্ন হবার সময় ছিল না। অগত্যা তাকে এক্স-রের জন্য পাঠানো। সেখান থেকে রিপোর্ট আসতে আসতে রাত ১১ টা বেজে গেছে। সেই রিপোর্টেই জানা হলো, মুস্তাফিজের বা পায়ের অগ্রভাগে সমস্যা। তার পক্ষে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা সম্ভব না।

সোমবার রাত ১১ টা ৫১ মিনিটে বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমামের টেক্সট, ‘মুস্তাফিজ দলের সাথে দেরাদুন যেতে পারছেন না। তার বা পায়ের অগ্রভাগে সমস্যা। যা আজ রাতে এক্স-রেতে ধরা পরেছে।’ এই খবরে রীতিমত চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়।

এদিকে সকাল ১০ টায় যেহেতু ফ্লাইট, তাই সাত সকালে বিমান বন্দরে পৌছে যায় জাতীয় দলের বহর। ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে, কাল তো কোনো প্র্যাকটিস ম্যাচ বা প্র্যাকটিস সেশনও ছিল না। তাহলে হঠাৎ কি এমন হলো যে মুস্তাফিজ ব্যথা পেয়ে গেলো? এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার ইনজুরিতে, টিম ম্যানেজমেন্ট, ফিজিও-ট্রেনার আর ম্যানেজারের কেউই জানবে না, তা কি করে সম্ভব?

এমন এক গাদা প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের ছোট্ট জবাব, ‘ও তো (মোস্তাফিজ) ২৬ মে শেষ প্র্যাকটিস ম্যাচও খেলেছে। কই তখন তো আমরা কোনো সমস্যা দেখিনি। সে নিজেও কিছু বলেনি। তাই আমাদের মাথায়ই আসেনি মোস্তাফিজের ইনজুরির কথা।’

ম্যানেজার ক্ষোভ ঝারলেন মোস্তাফিজের ওপরই। এমন একটা ভাইটাল প্লেয়ার, আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে খেলে ঝানু হয়ে গেছে। এসব ইনজুরির বিষয়গুলো আগে ভাগে খেয়াল করবে না! আরও দায়িত্ব সচেতন হওয়াতো জরুরী।

ম্যানেজার তার অবস্থান থেকে হয়তো ঠিকই বলেছেন। যেহেতু আইপিএল খেলে দেশে ফেরার পরও মোস্তাফিজ জাতীয় দলের প্র্যাকটিসে যোগ দিয়েছেন। শেষ প্র্যাকটিস সেশনেও অংশ নিয়েছেন। তখন কোনো সমস্যা বা ব্যথা অনুভব করেননি। কিংবা করলেও হয়তো আমলে আনেননি। ভেবেছেন ঠিক হয়ে যাবে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, জাতীয় দলের ফিজিও কি করেছেন? তার তো জানার কথা। অনেক টাকায় কোচিং স্টাফ, ট্রেনার-ফিজিও রাখা হয়েছে। তারা যদি কোনো ক্রিকেটারের সর্বশেষ অবস্থা কি, তা না-ই জানবেন, খুঁটিনাটি খোঁজ-খবর নাই রাখবেন, তাহলে বিপুল অর্থ ব্যয়ে এসব ফিজিও রাখার প্রয়োজনীয়তাই বা কি?

এদিকে মুস্তাফিজের মত নির্ভরযোগ্য পেসারের বিকল্প আসলে নেই। তাৎক্ষণিকভাবে টিম ম্যানেজমেন্ট বিকল্প চূড়ান্ত করতেও পারেনি। আজ সকালে বিমানবন্দরে জাগো নিউজের সাথে আলাপে ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি, মোস্তাফিজের জায়গায় কে যাবেন।

তিনি আবুল হাসান রাজু আর শফিউল ইসলামের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘এখনো ঠিক করা হয়নি। তবে রাজুর সম্ভাবনা বেশি।’ তার মানে আগের রাতে মোস্তাফিজের ইনজুরির খবর জানার পরে আজ সকালে তাৎক্ষণিকভাবে বিকল্প চূড়ান্ত হয়নি। ১৫ জনের বদলে ১৪ জন নিয়েই ভারতের দেরাদুনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে জাতীয় দল। হয়তো আজ রাজুর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। সেক্ষেত্রে তার দেরাদুন যেতে যেতে হয়তো আগামীকাল বুধবার। জাগোনিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়