প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিক : মাদক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। মাদক আমাদের পরিবারগুলোকে, আমাদের সমাজকে শেষ করে দিয়েছে। একজন মাদকসেবির জন্য পুরো সমাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে। একজন ব্যক্তি যখন মাদক গ্রহণ করে, তখন সে আরো দশজনকে মাদক গ্রহণে উৎসাহিত করে। এতে করে আস্তে আস্তে পুরো সমাজটাই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এজন্য স্কুল থেকে শুরু করে সরকারি কর্মতৎপরতায় সচেতনতা, পরিবারের সচেতনতা দরকার। আমাদের সময়ে আমরা এশার আযানের পরে আর বাইরে থাকতাম না। এখনকার বচ্চারা রাত দুইটা আড়াইটা পর্যন্ত বাইরে থাকে।
বিভিন্ন কারণে বাবা মায়েরা খবর নিতে পারে না। এই পরিবারগুলো গোছাতে হলে প্রথমত দরকার সচেতনতা। মায়েদের একটু বেশি সচতন হতে হবে। একজন মাদক ব্যবসায়ী একজন ডাকাতের চেয়ে আরো বেশি ভয়ংকর। একজন ডাকাত সাধারণত একদিন ডাকাতি করে, ১৫ বা ২০ দিন পরে আবার করে। আর মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন মাদকের ব্যবসা করেই যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঘোষণা করেছেন। এটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। সাধারণ মানুষ সরকারের এই আইনে খুশি। একজন ছাত্র যেই সময়টায় মাদক গ্রহণ করা শুরু করে, ঠিক সেই সময়টাই কিন্তু শিক্ষকদের কাছে থাকে।
শিক্ষকদের উচিত, নিজের সন্তানের মতো মনে করে তাদের শিক্ষার্থীদেরকে এই খারাপ পথ সম্পর্কে বুঝানো। সব ছাত্রকে তার বাচ্চার মতো দেখে, বাণিজ্যিক শিক্ষা বাদ দিয়ে, প্রকৃত শিক্ষাটা দিতে হবে। শিক্ষক নয় শিক্ষকের গুরু হওয়া দরকার। যেমন: ড. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও প্রফসর ড. আমিনুল ইসলাম প্রমূখ। আমরা অনেকেই শিক্ষক কিন্তু গুরু নয়। শিক্ষক গুরু আরো বাড়ালে আমার মনে হয় সমাজটা আরো আলোকিত হবে।
পরিচিতি : আহবায়ক, জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট/মতামত গ্রহণ: এনামুল হক এনা/সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :