মতিনুজ্জামান মিটু : দেশের কোথাও গাছ থেকে পাড়ার কথা নয়, তবুও রাজধানী ঢাকার অলি গলিতে ল্যাংড়া আমের ছড়াছড়ি।সোমবার(২৮মে) এমনই দৃশ্য দেখা গেছে এখানকার সর্বত্র। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের জাতভিত্তিক আম পরিপক্কতার সম্ভাব্য সময়কালের হিসেবে সোমবারের(২৮মে) আগে দেশের কোথাও গাছ থেকে ল্যাংড়া আম পাড়ার কথা নয়।
গতকাল ছিল সাতক্ষিরা, খুলনা ও খাগড়াছড়িতে গাছ থেকে লক্ষণভোগ, ল্যাংড়া, মোম্বাই ও বারি আম পাড়া শুরুর দিন। দেশের অন্যান্য আম উৎপাদনকারি জেলাগুলোতে ল্যাংড়া আম পাড়ার কথা আরো পরে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্বীকৃত অভিজ্ঞ আম চাষি ও চুয়াডাঙ্গা বহুমুখি জেলা আম ব্যবসায়ি সমবায় সমিতি লিমিটেডের উপদেষ্টা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আরও ৪/৫ দিন আগে প্রকৃত পাকা ল্যাংড়া আম পাওয়া যাওয়ার কথা নয়।
এখন সাতক্ষিরা, খুলনা, খাগড়াছড়ি, যশোর, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার প্রকৃত পাকা মোম্বাই, খিরসাপাত ও হিমসাগর আম ঢাকায় পাওয়া যাচ্ছে। গোপালভোগ আমকেই মোম্বাই আম বলা হয়ে থাকে। গাছ থেকে পাকার উপযোগি বা বতি বা গোবরে হলে কৃষক তার গাছ থেকে আম পাড়বে। যতই ডেট বেধে দেয়া হোক না কেন ওসব ডেট কার্যকর হবেনা। কর্র্তৃত্ব ও নের্র্র্তৃত্ব দিয়ে এ ক্ষেত্রে কিছু করা যাবেনা। উৎপাদনকারি বা চাষিই সব চেয়ে ভাল বোঝেন কখন গাছ থেকে আম পাড়তে হবে। এক্ষেত্রে উপর থেকে দিন তারিখ বেধে দিয়ে ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছু হবেনা।
জাতীয় পরামর্শক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এম এনামুল হকের বরাতে আবুল কালাম আজাদ বলেন, উৎপাদনকারিদের নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে কোটি কোটি টাকার আম নষ্ট হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম বলেন, পরিমিত মাত্রায় রাসায়নিকের ব্যবহারে ঝুঁকি নেই।
পৃথিবীর অনেক দেশে আমকে বর্ণিল এবং দেখতে সুন্দর করার জন্য রসায়নিকের ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে প্রতারণার জন্য এধরনের রাসায়নিকের ব্যবহারের অবাধ অধিকার থাকা ঠিক নয়। আমে রাসায়নিকের ব্যবহার রোধের যে কোনো অভিযানে কৃষিবিদদের উপস্থিতি অত্যান্ত জরুরী।
আপনার মতামত লিখুন :