আদম মালেক : বেসরকারী বিনিয়োগ আকর্ষণে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এসবের মধ্যে রয়েছে কর্পোরেট কর হারের ছাড়, সাবসিডিয়ারি কোম্পানির দ্বৈত কর পরিহার। বাড়তে পারে ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়ের সীমা। সম্ভাবনা নেই নতুন কোনো খাতে কর আরোপের। পাশাপাশি শুল্ক খাতে স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখাসহ অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসজাত পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানো হবে। তবে শিল্পের কাঁচামালের শুল্ক অপরিবর্তিত থাকবে। সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
সূত্রমতে, নির্বাচনী বছর হওয়ায় বিশাল রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা আদায়ে নতুন বাজেটে নতুন করারোপ করা হবে না। উল্টো আয়করে কর্পোরেট কর হার হ্রাস, সাবসিডিয়ারি কোম্পানির দ্বৈত করারোপের ব্যবস্থা বাতিল করা হবে। এসব কর ব্যবস্থাকে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবৎ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির অন্তরায় হিসেবে বলে আসছেন।
কর্পোরেট কর হার হ্রাসের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া একাধিকবার বিভিন্ন সভা-সেমিনারে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেছেন।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২৫ শতাংশ এবং তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির কর হার ৩৫ শতাংশ বলবৎ আছে।সর্বশেষ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির কর হার ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়। এত ছাড়ের বিপরীতে আয়করের বিশাল লক্ষ্য আদায়ের কর জাল বৃদ্ধি ও উৎস কর আদায় কার্যক্রমকে জোরদার করতে চাইছে এনবিআর। এজন্য উৎসে কর আদায়ের হারে পরিবর্তন আসতে পারে। বাজেটে এসব বিষয়ে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিবেন।
অন্যদিকে শুল্ক খাতে খুব পরিবর্তন আসবে না। স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখা হবে। বিলাসজাত ও অপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হবে। যে সব শিল্পের মধ্যবর্তী কাঁচামালে বেশি শুল্ক আছে বিনিয়োগের স্বার্থে সেগুলো সমন্বয় করা হবে। পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে ট্যারিফ ভ্যালু ও ন্যূনতম মূল্য সংশোধনের মাধ্যমে আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধের প্রচেষ্টা চালানো হবে।
সূত্র জানিয়েছে, বেসরকারি বিনিয়োগকে চাঙ্গা করতে এবারের বাজেটে ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ ছাড় দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে একাধিকবার নির্দেশনা দিয়েছেন। এজন্য বাজেটে খুব বেশি নতুন করারোপ করা হবে না। এর বিপরীতে রাজস্ব আদায় বাড়াতে কর জাল বৃদ্ধি ও মনিটরিংকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :