শিরোনাম
◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০১৮, ০৫:০৩ সকাল
আপডেট : ২৭ মে, ২০১৮, ০৫:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এনকাউন্টার নাটক নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে

গত ১৫ তারিখে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান ঘোষণা করে যে অভিযান শুরু করেছে, সেই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৬ জন লোক তথা কথিত বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। আইন শৃংখলা বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতেই পারে। যে কোনো অভিযানের একটি লক্ষ থাকে। এ অভিযানের লক্ষ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন করা বা মাদকের মূল উদঘাটন করা। যে কোনো  অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক থাকে। অভিযানের সফলতার ক্ষেত্রে যেনো কোনো অবস্থাতেই কোনো মানুষের জান-মালের বেশি ক্ষতি না হওয়া, অর্থাৎ জানমাল রক্ষার বিবেচনা রাখতে হবে এই অভিযানে। গত ১৫ তারিখ থেকে আমরা দেখছি, প্রতিদিন ২ থেকে ১২ জন পর্যন্ত নিহত হচ্ছে এবং কয়েকটি পরিবার দাবি তুলেছে যে, তাদের স্বজনদের আগেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বজনদের আগেই বাড়ি থেকে তুলে নিলে এটি কেমন করে বন্ধুক যুদ্ধ হতে পারে?

দ্বিতীয়ত বিষয়টি প্রতিটি যুদ্ধের কায়দা একই রকম দিচ্ছে এবং যে সমস্ত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তার দেশিয় তৈরি অস্ত্রই ছিলো। আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অত্যাধুনিক অস্ত্রের সামনে দেশিয় তৈরি অস্ত্র দিয়ে মোকাবেলা করবে? এটি কতটা বিশ্বাস যোগ্য! আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্যে তারা বলছে, তারা মাদক ব্যবসায়ী। এখন পর্যন্ত কোনো নির্ভরযোগ্য সুত্র থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তালিকা তৈরি করে অভিযানে নামার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৩ হাজারের বেশি মানুষকে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বা মাদকসেবি হিসেবে চিহ্নিত করে আটক করা হয়েছে। ইতমধ্যে তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধে ৫৫ থেকে ৬০ জন মানুষ নিহত হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে বিগত দিনের এনকাউন্টার নিয়ে যেমন সন্দেহ, শঙ্কা ছিলো তা এখনো আছে।

এই সন্দেহ শঙ্কার জায়গা থেকে মানুষ আরো ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে মাদক নির্মূল করা এবং সে জন্য সর্বাগ্রে জনগণকে সচেতন করা দরকার। মাদক পাচার কার্যকরভাবে প্রতিরোধে কঠিন পন্থা অবলম্বন করা দরকার। যে ক্ষেত্রে জনগণকে সব কিছুর বাইরে রেখে যে অভিযান হচ্ছে, আমার সন্দেহ অভিযানের সফলতা নিয়ে। এপর্যন্ত যারা নিহত হয়েছে, এর জন্য নিরপেক্ষ একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের তদন্ত সম্পন্ন করা দরকার। তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে যে এনকাউন্টারের মধ্য দিয়ে দেশ একটি ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে চলছে। এরকম অবস্থা বহাল থাকলে দেশের সাধারণ জনগণের স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকার খর্ব হবে এবং আগামী নির্বাচনে যার প্রতিফলন ঘটতে পারে।

পরিচিতি : মানবাধিকার কর্মী/মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়