হ্যাপী আক্তার : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন আহমেদ বলেছেন দেশ থেকে মাদক নির্মূল করতে চাইলে আইনের যে দুর্বলতা হয়েছে তা সংশোধন করা দরকার। বর্তমানের মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তাতে অনেকেই আইনের আইনের মারপ্যাঁচে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। বর্তমানে দেশে শীর্ষ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীর সংখ্যা প্রায় ত্রিশ হাজার।
পাশের দেশ মিয়ানমার থেকে আসা সহজে বহনযোগ্য ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশের যুব সমাজের মধ্যে। মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আনা হয় ইয়াবা। ওই সীমান্তে নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় নৌপথে সাতক্ষীরা দিয়ে চলছে ইয়াবা পাচার।
প্রতিদিনই আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ছে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। কিন্তু তা পাচার হয়ে আসা মাদকের মাত্র ১০ থেকে ১৫ ভাগ।
সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেশের প্রায় এককোটি মানুষ এখন মাদকাসক্ত বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, তাদের অর্ধেকই ইয়াবা ট্যাবলেটে আসক্ত।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, দেশে শীর্ষ থেকে খুচরা মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার। তবে ধরা পড়ছেন কেবল চুনোপুটিরা। মাদক নির্মূল করতে চাইলে আইন সংশোধন করার দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, আইনের যে দুর্বলতা হয়েছে, সেটা হলো কারো কাছে যদি মাদক না পাওয়া না যায় তাহলে তাকে মাদক আইনে গ্রেফতার করা যায় না। এই আইনের পরিবর্তন হয়ে যাদেরকে গডফাদার বলা হয় তাদের থেকে শুরু ক্ষেত্রপর্যায়ে যারা বিতরনকারী তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।
মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম.এ মোহিত কামাল বললেন, মাদকের বিরুদ্ধে থাইলেন্ডে খুক ক্রাশ একশন নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়েছে। তাদের অভিযানটি ছিল একেবারে ব্যবসায়ীদের ওপরে। আমরাও সে রকমের অভিযান চাই। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলুক এটাই আমরা চাই।
চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে যাতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলছেন সবাই। সূত্র : ডিবিসি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :