হ্যাপী আক্তার: হিন্দী সিরিয়াল ও সিনেমা দেখে কেউ কেউ ভারতীয় পোশাকের দিকে ঝুকলেও অনেকের পছন্দ দেশিয় পোশাক। আর তাই বিদেশি পোশাকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজস্ব স্বকীয়তায় ঈদের বাজারে স্থান করে নিয়েছে দেশিয় ফ্যাশন হাউসগুলো। দেশিয় ঐতিহ্যের সঙ্গে বিদেশি ধারার মিশিয়ে ক্রেতা আকর্ষণ বাড়াতে নান্দনিক ডিজাইনের পোশাকে সেজেছে ছোট বড় সব বুটিক হাউসগুলো। গরমের কথা মাথায় রেখে সুতি কাপড়ের এসব পোশাকের রঙে রয়েছেও উজ্জ্বলতা। তবে দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে কিছুটা অসন্তোষ। দেশিয় বুটিক হাউগুলো গরম ও বৃষ্টিকে বিবেচনায় নিয়ে সুতি, লিলেন, ভিসকস ও সিল্ক কাপড়ে তৈরি করা হয়েছে সালোয়ার কামিজ , শাড়ি পাঞ্জাবি ও কুর্তি। বিভিন্ন মোটিফে স্কিন প্রিন্ট, কারচুপি , এমব্রয়ডারি ও নিখুঁত হাতের কাজে রয়েছে বৈচিত্র।
বাহ্যিক চাকচিক্যে ও অবৈধ আমদানির কারণে গেল কয়েক বছরে দেশে ঈদের বাজারে ভারতীয় পোশাকের আধিপত্য চলছে। তবে এরই মধ্যে প্রতিযোগিতা করছে দেশিয় বিভিন্ন ব্র্যান্ড। ক্রেতা আকর্ষণে দেশিয় ঐতিহ্যের সঙ্গে হাল আমলের ফ্যাশনের সমন্বয় করে এবার পোশাক এনেছে বিভিন্ন বুটিক হাউস। ঈদে নিজের ও প্রিয়জনের জন্য পছন্দের পোশাক কিনতে এসব ফ্যাশন হাউসে ভিড় বেড়েছে ক্রেতাদের।
বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে যে পোশাকগুলো এখানে বিক্রি করা হয়, সেইগুলোতে একটু চাকচিক্য বেশি । তবে, ইদানিংকালে আমাদের দেশেও কিছু বুটিক হাউজ অনেক বেশি শৈল্পিকতা ও নান্দনিকতা নিয়ে এসেছে।
অন্য এক বিক্রেতা বলছেন, বিদেশি ডিজাইনের সঙ্গে দেশিও ডিজাইনের সংমিশ্রণ করা হচ্ছে। এতে ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে।
ক্রেতারা বলছেন, দেশিয় পোশাক হাউজগুলো আগের চেয়ে বর্তমানে পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক রুচিশীল পোশাক তৈরি করছে।
বিক্রেতারা বলেছেন, আমাদের এবারে শাড়ী, সালোয়ার কামিজ থেকে সব কিছুতে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। কটনের ওপর হাতের কাজ ও ব্লক, বাটিকটা ভাল যাচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, হিন্দী সিনামা দেখে কেউ কেউ ভারতীয় পোশাকের দিকে ঝুকলেও পড়তের আরামদায়ক ও মান ভালো হওয়ায় দেশিয় পোশাকই পছন্দ। তবে দেশিয় বুটিক হাউজগুলোতে দাম কমালে পোশাকের কদর বাড়তো বলে জানান ক্রেতারা। সূত্র: সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :