নাজমুল ইসলাম : অনেকে মনে করছেন, এবারের বাজেট হবে ভোটের বাজেট। আসলে তা নয়, ভোটের বাজেট হলো বর্তমানে যেটা চলছে। আগামী বছরের বাজেটটা ভোটের বাজেট নয়। কারণ এটা হবে দুই সরকারের বাজেট। সাধারণত আমাদের দেশে যে উন্নয়ন হয় তাতে দেখা যায় যে প্রথম ৬-৭ মাস কোনো কাজই হয় না। সুতরাং পুরনো সরকার অর্থাৎ বর্তমান সরকার এই ৬ মাসে বিরাট কিছু করতে পারবে তা কিন্তু নয়। দুটো সরকারের বাজেট যেহেতু হবে সুতরাং এমন বাজেট দেওয়া বা হওয়া উচিত যেটা বাস্তবায়ন যোগ্য। নতুন সরকার এসে যেন বাস্তবায়ন করতে পারে, কোনো সমস্যা যেন না হয়। এমন মন্তব্য করেছেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। তিনি বলেন, বড় একটা বাজেট দেওয়া হলো, বিরাট ব্যয় করব বলে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা গেল না, নতুন যে সরকার আসবে তারাও পারবে না । আসলে বাজেট কাটছাট করার যে পদ্ধতি তা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট বানালে কাটছাট কম হয় এবং কাজ কর্মের ভিতর একটা গতিশীলতা ঠিকমতো আসে। সেটা একইসঙ্গে আয় এবং ব্যয়ের বাজেট দুটোর ক্ষেত্রেই।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে যেটা চাওয়া হয় অর্থনীতি যেন সচল থাকে। অর্থনৈতিক কর্মকা-ের যেন বিস্তৃতি হয় অর্থাৎ বেসরকারিখাতে বিনিয়োগটা যেন বেশি হয়। সুতরাং বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য যে ধরনের পদক্ষেপ বা প্রনোদনা দরকার বাজেটে তা রাখা উচিত। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ, ব্যবসায়-বাণিজ্য হলে অর্থনীতি গতিশীল হবে। আর অর্থনীতির গতিশীল হলে রাজস্ব বাড়বে। অর্থনীতির গতিশীল থাকবে না, রাজস্ব বেশি বেশি চাইব এটা তো হবে না। এটা হয়ও না। অর্থনীতিকে বিনিয়োগমুখী করতে হবে। বিনিযোগমুখী হলেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলেই অর্থনীতিতে লেনদেন ও সবকিছুর আয় বাড়বে। এ ধরনের প্রত্যাশা চাই।
আপনার মতামত লিখুন :