শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৬ মে, ২০১৮, ০২:৫৪ রাত
আপডেট : ২৬ মে, ২০১৮, ০২:৫৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘সরকারি আর বেসরকারি সব ব্যাংকই একই গোষ্ঠির নেতৃত্বে রয়েছে’

মাহবুবুল ইসলাম : যারা সরকারি ব্যাংকের নেতৃত্বে আছে আর যারা বেসরকারি ব্যাংকের মলিকানায় আছে তাদের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়? সরকারি আর বেসরকারি সব ব্যাংকই একই গোষ্ঠির নেতৃত্বে রয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের কাছে টাকা চাওয়ার ব্যাপারে আলাপকালে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী আমাদের অর্থীতিকে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারি ব্যাংকের টাকা বেসরকারি ব্যাংকের কাছে যাওয়াটা সরকার বা ক্ষমতাবানদের কাছে তেমন মৌলিক কিছু না। সরকার তো বড়লোকদের পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারের যে অর্থনৈতিক অবস্থা, এতে কোন বড়লোকদের সমস্যা হয়েছে বলে দেখা যায় না। বড়লোকপন্থী না হলে বিভিন্ন সময় সরকারগুলো এত বড়লোক হলো কি করে? সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনে হয় না এতে সরকার বিব্রত হচ্ছে বা অন্য কোন কিছু হচ্ছে। কারণ, ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমেই এই অর্থ বড়লোকদের হাতে যায়। সুতরাং, সেটা কিভাবে আরও সহজ হয় সেই সিদ্ধান্তই তো হবে। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটা যোগাযোগ ভিত্তিক পুঁজিবাদ এটা সবাই বুঝেনা। এটা কোন বাজার ভিত্তিক পুঁজিবাদ না। যোগাযোগ ভিত্তিক পুঁজিবাদের যে নেটওয়ার্ক আছে তার স্বার্থটাই প্রধান। রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ি এরা সবাই এখন এই নেটওয়ার্কের সদস্য এবং এরা সবাই এখন ব্যবসায়ি। বাংলাদেশের সবাই এখন ব্যবসায়ি। সরকারের সংশ্লিষ্ট লোকেরাই যদি বেসরকারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে, তাহলে সরকারি ব্যাংক আর বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে কি তফাৎ থাকতে পারে? বাজারের অবস্থান বুঝেই তো বেসরকারি ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যাংকিং খাতগুলো তদারকি করা যাদের দায়িত্ব তাদের তো কোন কিছু হচ্ছে না। এতে বুঝা যায় যে, সরকারি ব্যাংক আর বেসরকারি ব্যাংক সবই একই গোষ্ঠির নেতৃত্বে রয়েছে।

আফসান চৌধুরী আরও বলেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে যদি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক টাকা দেয়, তবে পরিণতি কি হতে পারে ? এই প্রশ্নে আমি বলব, যদি পাঁচ হাজার কোটি টাকা চুরি হয় তবে কী হতো? অন্য দেশের অর্থনীতিতেও দু নম্বরি থাকে। তবে, আমাদের দেশের অর্থনীতিতে দু নম্বরিটা একটু বেশি। সেই জিয়াউর রহমানের আমলে যখন বেসরকারি ব্যাংকগুলো অনুমোদন দেওয়া হচ্ছিল, তখন আমার বাবা ছিলেন ব্যাংকের সচিব। তিনি সারাজীবন একজন ব্যাংকার ছিলেন। তিনি যখন বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ফাইলটা একনজর দেখছিলেন, তখন তাকে বলা হয়েছিল এগুলো নিয়ে আপনার ভাবার দরকার নেই। আমার বাবা একজন ব্যাংকার হয়ে বলেছিলেন, বেসরকারি কোন ব্যাংকই নিরাপদ নয়। তিনি সেই ১৯৮০ সালের দিকেই এই কথা বলেছিলেন। ৩৮ বছরে একটি অনিরাপদ প্রতিষ্ঠান কত বড় হয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়