খোকন আহম্মেদ হীরা,বরিশাল: বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের এক কিশোরীকে (১৫) বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধর্ষনের পর অন্তঃস্বত্তা ওই কিশোরীর একটি কন্যা সন্তান জন্মের দুইদিন পর পরিকল্পিতভাবে নবজাতক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভূক্ত আসামি হাতুরে চিকিৎসক রুহুল আমীনকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার সকালে গ্রেফতারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এরপূর্বে গত ২৩ মে রাতে বাকেরগঞ্জ থানায় হত্যাকান্ডের শিকার নবজাতকের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত নাজেম আকনের পুত্র অভিযুক্ত ধর্ষক আব্দুল করিম আকন, একই গ্রামের বাসিন্দা ও হত্যাকান্ডের সহযোগী হাতুরে চিকিৎসক রুহুল আমীন, শামীম আকন, মামুন আকন, আনোয়ার খানকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সূত্রমতে, এতিম ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন থেকে ধর্ষণ করে আসছিলো একই গ্রামের আব্দুল করিম আকন। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্তা হয়ে পরলে করিমকে বিয়ের জন্য চাঁপ প্রয়োগ করা হয়। এসময় বিয়ে করতে অপরাগতা প্রকাশ করে করিম নানা তালবাহানা শুরু করে।
এরইমধ্যে গত ২ মে ওই কিশোরী একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে। লম্পট করিম আকন তার অপকর্ম ঢাকতে মামলার অন্যান্য আসামিদের সহযোগীতায় এলাকার হাতুরে চিকিৎসক রুহুল আমিনকে ওই বাড়িতে পাঠিয়ে নবজাতক শিশুটিকে ঔষধ খাইয়ে হত্যা করে।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুদুজামান জানান, নবজাতককে পরিকল্পিত হত্যা মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিশেষ টিম গঠণ করে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষিতা কিশোরীকে বরিশাল ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :