আদম মালেক : রোজার আসলেই অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সাথে পেঁয়াজের দামও বাড়ে। এ মূল্যবৃদ্ধি কখনও কখনও অস্বাভাবিক। তবে এবারই ব্যতিক্রম। পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়েনি বরং কমেছে। প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে।
শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা এবং শান্তিনগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। পেঁয়াজের পাশাপাশি রোজার প্রথম সপ্তাহে দাম কমেছে শশা, গাজার, বেগুনসহ প্রায় সকল সবজির।
পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে দেশি এবং আমদানি করা উভয় পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। পাশাপাশি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খরচ কমেছে। ফলে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ বাজার ও মান ভেদে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা (ভারতীয়) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে রাজধানীর বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৫০-৫৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৫-৩৮ টাকা কেজি।
কাঁঠাল বাজারের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, প্রায় এক যুগ ধরে আলু-পেঁয়াজের ব্যবসা করছি। অতিতে কখনো দেখিনি রোজার ভেতরে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এবার প্রথম রোজার ভেতরে পেঁয়াজের দাম কমতে দেখছি। রোজা শুরুর আগে যে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি, এখন তা ৩৫ টাকা বিক্রি করছি।
দাম কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত। আড়তেও পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। আবার ভারতও পেঁয়াজের দাম কমিয়েছে। ফলে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। এর প্রভাবে দেশি পেঁয়াজের দামও কমেছে।
সেগুনবাগিচায় ভ্যানে করে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন মো. আফজাল। তিনি জানান, প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ২০ টাকা। রোজার আগে একই পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন। এখন আড়ৎ থেকে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন বলেই কম দামে বিক্রি করতে পারছেন।
কাওরান বাজার কিচেন মার্কেটের চৌধুরী জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মোশারফ হোসেন চৌধুরী বলেন, বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম অনেক কম। রোজার আগে যে পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) ২০০ টাকা বিক্রি করেছি, এখন তা বিক্রি করছি ১৫০ টাকায়।
আপনার মতামত লিখুন :