আবু সাঈদ ফাহিম : শুক্রবার (২৫ মে) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ ভবনটির উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ভবনের জমির পরিমাণ ৮ বিঘা সমপরিমাণ বা প্রায় ২.৭৫ একর। ভবনে রয়েছে ৪৫৩ আসনবিশিষ্ট একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম, দু’টি সেমিনার হল, গ্রন্থাগার, জাদুঘর, ক্যাফেটেরিয়া ও আর্কাইভ স্টুডিও।
অডিটোরিয়ামটিতে আলো এবং শব্দের যথাযথ প্রক্ষেপণের দারুণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অডিটোরিয়ামের ছাদ তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশের নৌকার ছৈ-এর আদলে।
বাংলাদেশ ভবনের লাইব্রেরিটি ভবনের দোতলায় প্রায় ১৩০০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে। যেখানে হাজারের বেশি বই রয়েছে। এছাড়াও একটি স্টুডিও ও একটি ফ্যাকাল্টি কক্ষের সংস্থান রয়েছে দোতলায়। ভবনের নিচতলায় দক্ষিণ পার্শ্বে প্রায় ৩০০০ বর্গফুট জয়াগাজুড়ে একটি জাদুঘর আছে।
ঢাকার জাতীয় যাদুঘরের নানা নিদর্শনের অনুকৃতি রয়েছে বাংলাদেশ ভবনে।
রবীন্দ্রনাথের বজরার অনুকৃতি, যে বজরায় করে তিনি বাংলাদেশে ভ্রমণ করতেন।
ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ - এ সম্পর্কের অনেক দুর্লভ ছবি।
বাংলাদেশে প্রাপ্ত বিভিন্ন যুগের কিছু মুদ্রা।
ভবনের ভিতরের দৃশ্য।
বাংলাদেশে খনন করে পাওয়া নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
নিচতলায় প্রবেশের পরে ভবনের ভেতরে একটি উঠান আছে। উঠানে প্রাকৃতিক আলো আসার ব্যবস্থা রয়েছে এবং বর্ষাকালে ওই উঠানে বসে বর্ষার শব্দ ও আমেজ উপভোগ যাবে। বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রচারের জন্য এই উঠানে কোনো মেলার আয়োজন হতে পারে বা একটি মিলনমেলার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
দোতলার বামপার্শ্বে প্রায় ১০০০ বর্গফুটের একটি ক্যাফে আছে। ক্যাফের বাইরে খোলা ছাদে বসার ব্যবস্থা রয়েছে।
পুরো ভবনটি প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রবেশগম্য হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনে ব্যবহৃত উপকরণসমূহে মাটি পোড়ানো ইট ব্যবহার না করে স্যান্ড সিমেন্ট দ্বারা তৈরি ইট ব্যবহার করা হয়েছে এবং চৌচালা ছাদে ইটের টালির পরিবর্তে পিভিসি লাল টালি ব্যবহার করা হয়েছে। সূত্র : সময় টিভি, বিবিসি বাংলা
আপনার মতামত লিখুন :