শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৬ মে, ২০১৮, ০২:৩০ রাত
আপডেট : ২৬ মে, ২০১৮, ০২:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলা-ভারতের রক্ত মিশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

হ্যাপী আক্তার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সেই অবদান আমরা কোনো দিনই ভুলতে পারি না। ১ কোটি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং দিয়েছে, অস্র দিয়েছে সাহায্য করেছে। বাংলা এবং ভারতের রক্ত মিশে একাকার হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত ভবনটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ছাড়াও বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের শত্রু একটাই সেটা হলো দারিদ্র। প্রতিবেশি যে কোনো দেশ হোক, আমাদের অঞ্চলগুলোকে সম্পূর্ণভাবে দারিদ্র ও ক্ষুধা মুক্ত করতে চাই ।

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। নির্যাতিত মানুষকে আশ্রয় না দিয়ে পারেনি বাংলাদেশ। প্রয়োজনে নিজেদের খাবার ভাগ করে খাওয়াব। আমরা চাই দ্রুত তারা দেশে ফিরে যাক।

মুজিব ও ইন্দ্রিরা চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে সময় তারা দু’জন মিলে যে চুক্তি করেছিলেন। সেই বিলটি সকলে মিলে পাস করেন ভারতের সংসদে। তার সাথে ছিট মহলের সমস্যা সমাধান করা হয়। আমরা যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে পারবো।

এসময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কবিগুরু শুধু ভারতের নয় আমরা মনে করি তিনি আমাদেরও। দুই দেশের জাতীয় সংগীত কবিগুরু লিখেছেন। তার অধিকাংশ কবিতা বাংলাদেশের মাটিতে বসে লিখা। তাই আমাদের অধিকার একটু বেশি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার আত্মার মিল রয়েছে। তাই আমি মনে করি এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আমারও।

‘রবীন্দ্রনাথ অন্তরের কবি, তিনি মিশে আছেন আমাদের সবকিছুর সাথে। আমাদের হাসি, কান্না, ব্যথা-বেদনা ও আনন্দ যা কিছু আছে যা কিছু করতে চাই যা ব্যক্ত করতে চাই আমরা রবীন্দ্রনাথের আলোতেই উদ্ভাসিত হই।’

প্রধানমন্ত্রী তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে কান্না ভরা কণ্ঠে বলেন, তিনি রবীন্দ্রনাথের অনেক কবিতা আবৃত্তি করতেন। আন্দোলনের সময় তিনি অনেক সময় উচ্চারণ করতেন, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে। সূত্র : ডিবিসি নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়