শিমুল চন্দ্র শীল : বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও দেশের রেলপথের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। নেই কোনো সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সড়কে যানজট কমিয়ে এনে মালামাল পরিবহনের সুযোগ বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিবেশি ও উন্নত দেশগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পরামর্শ তাদের। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আসছে বাজেটে রেল খাতে বরাদ্দ বাড়ানোসহ বেসরকারি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।
স্বাধীনতার পর থেকে রেল চলছে সেই পুরনো অবকাঠামো নিয়ে। বরং বছরের পর বছর কমেছে রেলের রুট সংখ্যা ও বেড়েছে লোকসান। যদিও সময়ের ব্যবধানে বেড়েছে চাহিদাও। অর্থনৈতিক অগ্রধারায় এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ। দেশজুড়ে নেয়া হয়েছে একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। তাই যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে রেলপথের উন্নয়ন ও সম্প্রসারতা নতুন করে সামনে এসেছে।
বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের কোষাধক্ষ্য দেওয়ান সুলতান আহমেদ বলেছেন, ‘রেল যোগাযোগটাকে আরও অধিকভাবে ইনভেস্ট করে রেলকে আরও কার্যকরী করা প্রয়োজন পাশাপাশি রেল এবং সড়ক একইভাবে সচল রাখতে পারি তাহলে যোগাযোগে আমাদের অনেক উন্নয়ন হবে এবং আমাদের ব্যবসার ব্যয় আরো কমবে।’
ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম বলেছেন, রেল যোগাযোগে পণ্য এবং নৌপথে পণ্য পরিবহনে আমাদের মনোযোগ আরো বেশি দিতে হবে।’
টেকশই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যেসব টার্গেট. তা অর্জন করতে হলে ঢেলে সাজাতে হবে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে। সেক্ষেত্রে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হিসেবে সবার আগে উঠে আসে রেলপথ। তাই আসছে রেলখাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
পণ্য পরিবহন সেবা আরো কার্য্যকরী করে তোলা উচিত বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।তিনি বলেন, ‘ট্রেনের গুণগত মানও বাড়াতে হবে অর্থাৎ কিছুটা হাইস্পিড করতে হবে, এখানে ভালো দক্ষ কর্মী নিয়াগ দিতে হবে যারা সংস্কারপন্থী এবং এখানে ব্যাপকভাবে ব্যাক্তিখাতকে নিয়ে আসতে হবে। সূত্র : সময় টিভি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :