লাইফস্টাইল ডেস্ক : খাবার হিসেবে আপেল অত্যন্ত পুষ্টিকর, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তার পরও কিছু বিষয় নিয়ে কারো কারো মধ্যে কিছুটা সন্দেহ থেকেই যায়। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সুগার ও কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ ফলটি ভালো না খারাপ, তা নিয়ে যেকারো মনে প্রশ্ন আসতেই পারে। তবে ফলটিকে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো পথ্য হিসেবেই দেখছে আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থাটি জানিয়েছে, টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য আপেল ও অন্যান্য ফল গ্রহণে কোনো বাধা নেই। খবর মেডিকেল নিউজ টুডে।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের মাত্রা নিয়ে বেশ সতর্ক থাকতে হয়। রক্তে সুগারের মাত্রায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্যই এ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) তথ্য অনুযায়ী, মাঝারি সাইজের একটি আপেলে শর্করা থাকে ২৫ গ্রামের মতো। এর মধ্যে ১৯ গ্রামই হচ্ছে সুগার। তবে আপেলের মধ্যেকার সুগার হলো মূলত প্রাকৃতিক ফ্রুকটোজ। অন্যান্য ধরনের চিনির তুলনায় দেহে প্রাকৃতিক ফ্রুকটোজের প্রভাব একটু ভিন্ন ধরনের। এ কারণে চকোলেট বা বিস্কুটের মধ্যেকার চিনি আর আপেলের মধ্যেকার চিনির প্রভাব এক রকম নয়।
আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, খাওয়ার পর গ্লুকোজ বা সুক্রোজজাতীয় চিনিসমৃদ্ধ খাবারের বদলে আপেলের মতো প্রাকৃতিক ফ্রুকটোজ-সমৃদ্ধ ফল গ্রহণে দেহের রক্তপ্রবাহের সুগার ও ইনসুলিনের মাত্রা তুলনামূলক কম থাকে।
ইউএসডিএ জানিয়েছে, মাঝারি ধরনের একটি আপেলে আঁশ বা ফাইবার থাকে চার গ্রামের মতো। এ ধরনের আঁশ দেহে চিনি শুষে নেয়ার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে রক্তে চিনি বা ইনসুলিনের মাত্রা বাড়তে পারে না। আসলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বা প্রোটিনজাতীয় খাবারের সঙ্গে যেকোনো ফল একত্রে গ্রহণ করলেও রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। উপরন্তু এক্ষেত্রে ক্ষুধাও লাগে কম। সূত্র : মেডিকেল নিউজ টুডে
আপনার মতামত লিখুন :