নূর মাজিদ: ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে সরিয়ে নিলেও চুক্তিটি রক্ষা করতে আগ্রহী চীন ও জার্মানি। এই চুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব আরো সুরক্ষিত হবে বলেই দেশদুটির নেতারা মনে করেন। বৃহস্পতিবার জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মের্কেল ও চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এক যৌথ বিবৃতিতে এই প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেন।
এই সফরের মাধ্যমে চ্যান্সেলর মের্কেল চীনের বাজারে জার্মান কোম্পানিগুলোর আরো ব্যবসা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছেন। এসময় তিনি চীনের ‘গ্রেট হল অব পিপল’ এ চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নেন।
তিনি বলেন, ‘চীন ও জার্মানির সম্পর্ক শুধু বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রেই নয় বরং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং শান্তি রক্ষার মতো বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে।’
এসময় ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার পরমাণু চুক্তি নিয়েও তাদের মাঝে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে কেকিয়াং এবং মের্কেল জানান, ‘বেইজিং এবং বার্লিন দৃঢ়ভাবেই ২০১৫ সালের ইরান পরমাণু চুক্তিকে সমর্থন করে। এই চুক্তির মাধ্যমে ইরান পরমাণু অস্ত্রনির্মাণ থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয়। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।’
এই চুক্তির কোন সন্তোষজনক বিকল্প নেই বলেও জানান জার্মান চ্যান্সেলর। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ফলে বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করতে বাধ্য হবে।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি পরমাণু চুক্তি মেনে চলার ৭টি শর্ত তুলে ধরেছেন৷ বুধবার তাঁর ওয়েবসাইটে এই শর্তগুলি প্রকাশ করা হয়৷এসময় তিনি বলেন, আমেরিকার অনুপস্থিতিতে ইউরোপ এই সমস্ত শর্ত মেনে নিলেই ইরান এই চুক্তির শর্ত রক্ষা করবে।
এই শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, ইরান আগের মতোই পেট্রোলিয়াম বিক্রি করতে পারবে, এই মর্মে ইউরোপকে গ্যারেন্টি দিতে হবে৷ মার্কিন প্রশাসন এ ক্ষেত্রে কোনো ক্ষতিসাধন করলে ইরান থেকে তেল কিনে ইউরোপীয়দের ক্ষতিপূরণ করতে হবে৷ ইউরোপীয় ব্যাংকগুলিকে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য নিশ্চিত করতে হবে৷ তাছাড়া ইরানের দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও মধ্যপ্রাচ্যে সে দেশের প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে কোনো রকম আলোচনার অবকাশ নেই। ইউরোপকে এই মর্মে প্রতিশ্রæতি দিতে হবে৷ -ডয়েচে ভেলে/ প্রেস টিভি
আপনার মতামত লিখুন :