লিহান লিমা: অতীতের সেই রাজ্যপাট, ক্ষমতা আর লাল ফোনবক্স ব্রিটিশদের কাছে এখন শুধুই পুরনো ঐতিহ্য। এবার ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে এক সময় রাস্তার পাশে দাপটের সঙ্গে নিজের অবস্থান জানান দেয়া টেলিফোন বুথগুলোকে নতুন রুপে আনতে যাচ্ছেন এক ব্রিটিশ শিল্পী।
অব্যবহৃত, পুরনো, ভাঙাচোরা ফোনবুথগুলোকে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী দোকান, ছোট্ট ক্যাফে, লাইব্রেরি, শোপিসে রুপান্তর করা হয়েছে।
১৯২৬ সালে প্রথমবারের মত ‘কিসোক নং-২’ বা ‘কে-২’ নামে ব্রিটেনের রাস্তায় দেখা মেলে এই বুথগুলোর। লিভারপুল ক্যাথ্রেডাল এবং বেটারসি পাওয়ার স্টেশন এর ডিজাইনার গিলস গিলবার্ট স্কট এর নকশা করেন। কয়েক যুগ ধরে ব্রিটেনের রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ার পর ১৯৮০ সালে টেলিকম এবং মোবাইল ফোনের উত্থানের প্রেক্ষিতে হারিয়ে যায় এই লালবক্স।
এই হারিয়ে যাওয়া বুথগুলোকে পুনরায় নবজীবন দেয়ার উদ্যোগ নেন শিল্পী টনি ইনগিলস। এই বুথগুলোকে এখন জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসায় ব্যবহৃত সামগ্রী, কমিউনিটি লাইব্রেরি, কফিশপ, সেলফোন মেরামত, শৈল্পিক নির্দেশনাসহ নানা রুপে হাজির করেন টনি।
মধ্য লন্ডন, উত্তর লন্ডন, টেমস নদীর তীর, লুইসিহাম, পশ্চিম ইংল্যান্ড ও রেডহিলে দেখা মেলে পুরনো বুথগুলোর নতুন রুপে সাজিয়ে তোলার বাহার।
টনির রেডহিলের ওয়ার্কশপে এই বুথ ছাড়াও দেখা যায় পুরনো ফার্নিচারগুলোকে নতুন রুপে সাজানোর প্রচেষ্টা। টনি বলেন, ‘এই বুথগুলো সময়ের বিপরীত। সময় যার প্রয়োজনবোধ করে না তারা তাই ধারণ করে আছে।’ নিউ ইয়র্ক টাইমস।
আপনার মতামত লিখুন :