তাপস কুমার, নাটোর: রাসায়নিক পদার্থের অপব্যবহার রোধ করে পরিপক্ক আম প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুক্রবার ২৫ মে থেকে জেলায় আম সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। দুই মাস ব্যাপী এই সংগ্রহ কার্যক্রম আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র থেকে নাটোরে উৎপাদিত ১২ জাতের আম পাড়ার সময়সূচী নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ২৫ মে শুক্রবার থেকে গোপালভোগ আম পাড়ার মধ্য এই সময়সূচীর অনুসরণ শুরু হবে।
পরবর্তীতে ৫ জুন থেকে ল্যাংড়া, লকনা, নাক ফজলী জাতের আম, ১০ জুন থেকে হাড়িভাঙ্গা আম, ২০ জুন থেকে আমরুপালী, মরিকা ও ফজলী, ১০ জুলাই থেকে বারি-৪ এবং সর্বশেষ ২৫ জুলাই থেকে আশ্বিনা জাতের আম সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই সময়সূচীর বাইরে সাত থেকে দশ দিন আগে কোন জাতের আম গাছে পরিপক্ক হলে উপজেলা কৃষি বিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে কৃষক বা ব্যবসায়ী গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে পারবেন।
আম সংগ্রহের সময়সূচী বাস্তবায়নে গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার নির্দেশনার আলোকে জেলার সাতটি উপজেলা প্রশাসন এলাকার আম চাষী ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা করেছে এবং সময়সূচীর প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। সময়সূচীর বাইরে আম সংগ্রহ করা হলে এবং আমে রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গেলে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমরেজ আলী জানান, গাছ থেকে আম সংগ্রহের সময়সূচী সম্পর্কে এলাকার আম চাষী ও ব্যবসায়ী-সবাই সচেতন এবং তা যথাযথভাবে অনুসরনও করা হচ্ছে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, আম সংগ্রহের সময়সূচী গ্রাম পর্যায়ে মাইকিং ও লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এ সংক্রান্ত ইউনিয়ন কমিটিও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। লালপুর উপজেলার গাছ থেকে সংগ্রহ করা আম লালপুরের বাইরে যেতে গেলে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসের প্রত্যয়ন সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
সময়সূচীর বাইরে বুধবার ২৩ মে উপজেলার নওপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আম গাছ থেকে লকনা জাতীয় দেড় মণ আম সংগ্রহ করায় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে সমুদয় আম বিক্রি করে রাষ্ট্রিয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলায় চার হাজার ৮৪৪ হেক্টর জমি থেকে ৬২ হাজার ৩২৮ টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :