রিকু আমির : মশাবাহিত রোগ বিশেষ করে চিকুনগুনিয়া আতঙ্কে ঢাকায় মশারি বিক্রি বেড়ে গেছে বলে সরেজমিনে দেখা গেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে কয়েল ও স্প্রে বিক্রি।
সম্প্রতি থেমে থেমে বৃষ্টির প্রভাবে এ আতঙ্ক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সোনালী ব্যাংক কর্মচারি মোহাম্মদ মোর্শেদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কাওরান বাজার থেকে ডাবল সাইজের মশারি ক্রয়ের সময় তিনি এ প্রতিবেদকের প্রশ্নে বলেন, আগে তো কয়েল ব্যবহার করতাম। কিন্তু কাজ হয়নি। গত বছর আমার পরিবারের ৫ সদস্যই চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল।
গুলিস্তানের পাইকারি মশারি ব্যবসায়ী ইকবাল বলেন, এবার ঢাকার খুচরা ব্যবসায়ীরা আমাদের থেকে আগের চেয়ে বেশি মশারি কিনছেন। ঢাকার কলাবাগান, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কাওরান বাজার, হাতিরপুলসহ কয়েকটি এলাকার খুচরা মশারির দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মশারি বিক্রি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
বিক্রেতা ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘বৃষ্টির পরপরই মশারি বিক্রি বেড়ে গেছে। গত কয়েকমাস আগেও সপ্তাহে তিন থেকে চারটি মশারি বিক্রি করতাম। এখন প্রায় প্রতিদিনই তিন-চারটা বিক্রি হচ্ছে।
এসব এলাকার মুদি দোকানিদের কাছ থেকে জানা যায়, আগের চেয়ে কয়েল ও স্প্রের বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে। কলাবাগানের মুদি দোকানদার রহমান বলেন, ‘কয়েল তো সারাবছরই বিক্রি হয়। ১০-১৫দিন ধরে বেশি বিক্রি হচ্ছে। স্প্রে বিক্রিও বেড়ে গেছে।
হাতিরপুল থেকে স্প্রে ক্রেতা ইমরান হাওলাদার বলেন, মশারি আছে। রাতে টাঙাই। কিন্তু এডিস মশা তো ধরে দুপুরে। তখন স্প্রে ব্যবহার করি। তবে পারতোপক্ষে স্প্রে ব্যবহার করি না।
মশা থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে ভাল রাস্তা মশারির ব্যবহার উল্লেখ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, মশারির ব্যবহার খুবই ইতিবাচক। এতে তো কোনো রাসায়নিক দ্রব্য নেই। এটা মানবদেহ এবং পরিবেশের জন্য মোটেও ক্ষতিকর নয়।
আপনার মতামত লিখুন :