শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০১৮, ০৭:৫৮ সকাল
আপডেট : ২৪ মে, ২০১৮, ০৭:৫৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অসহায় বিএনপি!

রবিন অাকরাম : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকার কারণে অসহায় হয়ে পড়েছে দলটি। ক্ষমতাসীন দলের সাথে তাল মিলিয়ে উঠতে পারছে না তারা। খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেরে অনেকটাই ভেঙে পড়েছে বিএনপি। আবার তারেক জিয়াকে নিয়েও পড়েছে বিপদে। শেষ পর্যন্ত বিএনপির ভবিষ্যত কি? বলা বড়ই মুশকিল।

এদিকে সামনেই একাদশ জাতীয় নির্বাচন। টানাপড়ার মধ্যে সময় পার করছে বিএনপি। একদিকে খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করা। অন্যদিকে গাজীপুর সিটি নির্বাচন ও দলকে আরো শক্তিশালী করা। খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। কিন্তু সরকারি দলের বেড়াজালে আটকা পড়ে আছে তারা।

অনেকেই বলছেন, বিএনপি ঠাণ্ডা মাথায় রাজনীতি করছেন। আবার অনেকেই বলছেন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে রাস্তায় নামতে হবে বিএনপিকে।

এনিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। সর্বশেষ (২১ মে ) বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, জনসাধারণ যখন রাস্তায় নামবে তখন খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন। আর এন নেতৃত্ব বিএনপিকেই দিতে হবে।

অাবার অনেকেই বলছে, বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় তার প্রতি দেশের মানুষের সহানুভূতি রয়েছে। এ ব্যাপারে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, বিএনপির চেয়াপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় তার প্রতি দেশের মানুষের সহানুভূতি রয়েছে। এ সহানুভূতিকে বিএনপি কাজে লাগাতে পারেনি, এটা তাদের ব্যর্থতা।

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও কম কথা হচ্ছে না। তিনি চিকিৎসা পাচ্ছে না। এই সবকিছু সরকারের ইচ্ছেতেই হচ্ছে। সরকার চাইলেই খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব। এমন বক্তব্য বিএনপির সিনিয়র নেতারা প্রতি মূর্তেই বলে যাচ্ছে।

অন্যদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক জিয়াকে নিয়েও দলের চিন্তার কমতি নেই। জিয়া অরফানেজ মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ডের মাধ্যমে দ্বিতীয় কোনো মামলায় সাজা হলো বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। এর আগে থেকেই দেশে আসতে পারছেন না তিনি। তার মধ্যে এখন আবার ১০ বছরের সাজা। সরকার যদিও বিভিন্নভাবে তারেক জিয়াকে দেশে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর জুলুম-নির্যাতন ও বিভিন্ন মালমায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে বিএনপি। সরকারের কাছ থেকেও পাচ্ছে না কোন ধরনের ছাড়। তার মধ্যে খালেদা জিয়া জেলে আর তারেক জিয়া দেশের বাহিয়ে। প্রশ্ন জাগে তাহলে বিএনপির এই অসাহায়ত্ব দেখবে কে?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়