আমার এক সময়ের কর্মস্থলের সহকর্মী বন্ধু দিলারা জলির সুযোগ্য কন্যা ছিলেন তাজিন আহমেদ । তাজিন আহমেদ মায়ের সাথে দীর্ঘদিন এক সাথে কাজ করেছে। দিলারা জলির একটি প্রডাকশন হাউজ ছিলো, সেখান থেকে তিনি অভিনয় শুরু করেন। এর পর থেকে তাকে আর পিছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। তাজিন আহমেদ ছিলেন ভদ্র, ন¤্র ও সুন্দর মনের অধিকারি। আমি তাকে ছোট বেলা থেকেই আমার মেয়ের মত দেখেছি। তিনি খুব মেধাবি ছিলেন। তাজিন আহমেদ সাংবাদিকতার ছাত্র ছিলেন।
বিভিন্ন পত্রিকায় চাকরি করেছেন। ভোরের কাগজ, প্রথম আলো, এনটিভিতে ছুটির ফাঁকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেছেন। তিনি অনেক নাটক লিখেছেন এবং অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন। প্রত্যেক নাটকে বহুমাত্রিক গুণের প্রকাশ পায়। সে অভিনয় জগতে অনেক ভাল অভিনয় করেছেন। ভালো অভিনেত্রী হয়ে সম্মান অর্জন করেছেন। তাজিন আহমেদ এর জন্মস্থান ঢাকা মহাখালি ।
বড় হয়েছেন পাবনায় নানার বাড়িতে। সঞ্চালক, সাংবাদিক ও ভালো অভিনেত্রী তাজিনের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার স্মৃতি কাব্যে তার প্রিয় মুখ আমাদের কাছে ভেসে বেড়াবে। আমি দেখেছি তার শরীরে অনেকদিন ধরে বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছিল। প্রথমে এ্যাজমা রোগ হয়েছিল, এরপর মানসিকভাবে অনেক সমস্যা ছিল। পরে এসব রোগ তাকে আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। এখন সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। তার শান্তির জন্য আমরা দোয়া করি।
পরিচিতি :প্রখ্যাত গণসঙ্গীত শিল্পী/ মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :