শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০১৮, ০৪:২৪ সকাল
আপডেট : ২৪ মে, ২০১৮, ০৪:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এক মুঠো অন্ন ভাগের কথা বাঙালিই বলতে পারে

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক রাজনীতি হচ্ছে। মানুষের মূল্য না থাকলেও রক্তের মূল্য অনেক। বিশ্ব সকল সময়ই মানবাধিকারের কথা বলে। মানবাধিকার ফিলিস্তিন, সিরিয়া, মায়ানমার, সোমালিয়া, সুদানে এসে থেমে যায়। বিশ্বে নিপীড়িত ও নির্যাতিতদেরকে নিয়ে রাজনৈতিক খেলা হয়। স্বার্থের জন্য সিরিয়ায় পারমানবিক বোমার প্রতিযোগিতা হয়। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার কথা হলে ভেটো আসে বিশ্ব মানবাধিকারের ব্যবসায়ী যুক্তরাষ্ট্রের। বাংলাদেশকেও মানবাধিকার শেখাতে চায়, উপদেশ দেয়া হয় বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের জন্য। নির্বিচারে বোমা হামলার কোন বিচার নাই। রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ, সহায় সম্বলহীন করা কোন বিচারে হয়েছে, এর কোন উত্তর নাই। ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা কোন বিচারে বিশ্ব মানচিত্রের ছোট্ট একটি দেশের উপর চাপিয়ে দেয়া হলো।

মানবিক আর মানবাধিকারের দৃষ্টান্ত বাঙ্গালির চাইতে বড় করে আর কোন জাতি দেখাতে পারে নাই। পরের জন্য জীবন, নিজের মুখের খাদ্য একমাত্র বাঙ্গালিই ভাগ করে নিতে পারে। একমাত্র বাঙ্গালির প্রাণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বলতে পারেন এবং বলেছেন, এক মুঠো অন্ন থাকলেও রোহিঙ্গা ভাই-বোনদের সাথে ভাগ করে খাবো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে। বাঙ্গালির ইতিহাস অজ¯্র। দেশের জন্য, ভাষার জন্য, মানুষের জন্য জীবন একমাত্র বাঙ্গালিই দিতে পারে। তবুও রোহিঙ্গা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে বাঙ্গালিকে। বিশ্বে সকল মানবাধিকার আরাকানে থেকে যাওয়ার পর, মানবতা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে।

রোহিঙ্গাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় ঠেঙ্গার চর, বর্তমান ভাষানচরে বসতির স্থান নির্মাণ চলছে, পাশাপশি চলছে রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেওয়ার আলোচনাও। কি হবে তা সময় বলে দিবে। শেখ হাসিনা মানবাধিকার নিয়ে রাজনীতি করে না। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়া মুক্তির জন্য তার আইনজীবিদের আইনগতভাবে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা হচ্ছে, কেহই জবাবদিহিতার উর্দ্ধে থাকতে পারে না। আইনের কাছে জবাবদিহিতার মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে, চিকিৎসার ব্যবস্থা হলে সরকারের কোন বাধা থাকবে কেন ?

আইনের শাসন বাস্তবায়নে এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর কি হতে পারে। যারা বাংলাদেশকে মানবাধিকার শিখাতে চান, উপদেশের ব্যবসা করেন, মানবাধিকারের কথা বলে অস্ত্র বিক্রয়ের পায়তারা করেন, মানবাধিকার পদে পদে লঙ্ঘন করেও মানবাধিকারের কথা বলেন - একমাত্র বাংলাদেশ, বাঙ্গালি, শেখ হাসিনাই বলতে পারে ও দেখাতে পারে এবং পেরেছে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গার পাশে দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে। আমরাই পারি, আমরাই পারবো দেখাতে, আমাদের শেখ হাসিনা আছে যিনি মানবতার জননী। দেশ ছোট হতে পারে কিন্তু বাঙ্গালির মন অনেক বড়।

সারা বিশ্বকে ধারন করতে পারে, সেখানে রোহিঙ্গাতো অনেক ছোট বিষয়। রোহিঙ্গাদের ফেরৎ নিবেন কিনা জানিনা, এ বিষয়টি বিশ্ব মানবাধিকার ব্যবসায়ীদের ভাবনার বিষয়। আমরা মানবাধিকার বাস্তবায়ন করবো ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের মাধ্যমে, প্রমান করবো জনসংখ্যা অভিশাপ নয়, আশির্বাদ। শেখ হাসিনাই পারে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ২০ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে, ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা বড় বিষয় নয়। বিশ্বকে আমরা দেখাবো এবং শিখাবো। এ কারণে বাংলার জনগণের সমর্থনের প্রয়োজন হবে, প্রয়োজন হবে নৌকায় একটি ভোট, যার মাধ্যমে হবে বাংলাদেশ পরিবর্তন।

লেখক : ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়