আমাদের সততা নিয়ে প্রশ্ন করার আগে দু’বার ভাববেন। এ দেশে আমরাই একমাত্র ছাত্র সংগঠন, যারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে সাধারণ ছাত্রদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কারণ, আমরা নিজেরাও যে সকলে সাধারণ ছাত্র। আমাদের লাইফ-স্টাইল, চলা-ফেরা, পোশাক সবই সাধারণ। আর সারাজীবন ঠিক এভাবেই থাকবে। আমাদের কারোর বাবা রাজমিস্ত্রি, কারোর বাবা টেম্পুচালক, শ্রমিক, মজুর এবং মধ্যবিত্ত। তাই আমরা বুঝি, বেকার ছাত্রের কাছে চাকুরীর মূল্য কতো! বাংলাদেশের ৯৮% মানুষ আমাদেরকে বিশ্বাস করে, সম্মান করে, ভালোবাসে। কেবল মাত্র কিছু কোটাধারী সুবিধাভোগী এবং দলের অতি উৎসাহী কিছু ছাত্রনেতা ছাড়া কেউ আমাদের মন্দ বলে না।
আর যতোদিন সততার সাথে থাকবো, ততোদিন কেউ বলতেও পারবে না। যেদিন দেখব এই সংগঠন ছাত্রদের কথা বলে না, বঞ্চিতদের কথা বলে না, নির্দিষ্ট দলের গোলামী করে, সেদিন আর কোনোদিন বড় বড় মুখ নিয়ে আপনাদের সামনে যাবো না। এ দেহে শেষ রক্তবিন্দু থাকতে সততা ও ন্যায়ের পথে থাকবো। আমাদের নামে যারা গুজব ছড়ায় তারা ইতিহাসে একদিন কলঙ্কিত থাকবে। জাতি তাদেরকে আজ চিনে গেছেন আর কারা প্রকৃত ছাত্রবন্ধু তাদেরকেও জাতি আজ চিনেছে। আজ পর্যন্ত আমাদের নামে যতোগুলো গুজব রটানো হয়েছে, তার একটিও প্রমাণ করতে পারে নি। আর কোনোদিন পারবেও না। কারণ, সত্য সবসময় দিবালোকের মতো পরিষ্কার এবং সবসময় সত্যই থাকে।
আমাদের টাকার উৎস কী? এটা অনেকের প্রশ্ন। যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পড়েন, তারা জানেন আমাদের টাকার উৎস কী কী এবং কোথায় । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, সুফিয়া কামাল পাবলিক লাইব্রেরি, বিজ্ঞান লাইব্রেরি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের রিডিং রুমসমুহ, বিসিএস কোচিং সেন্টারসমুহ এর মধ্যে যে সকল বঞ্চিত বেকার খেয়ে না খেয়ে দিন রাত সামান্য চাকুরীর জন্য পড়াশোনা করেন, মাসশেষে যাদের পকেট টিউশনির টাকার অপেক্ষায় থাকে কিংবা মধ্যবিত্ত বাবা কষ্ট করে টাকা পাঠায়, তারাই আমাদের টাকার উৎস।
দশ টাকা, বিশ টাকা, পঞ্চাশ টাকা, একশো টাকা এমনকি ওই বেকারের দেওয়া পাঁচটি টাকাও আমাদের এই আন্দোলনের টাকার উৎস। তাছাড়া কিছু কিছু বড় ভাই এবং বোন রয়েছেন আমাদের। যারা একসময় এই বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন, তবে বর্তমানে অন্য পেশায় ভালো করছেন এবং তারা চান যাতে করে তাদের আর কোনো ছোট ভাই বোন এ বঞ্চনার শিকার না হয়, সে জন্য তাঁরাও একশো পাঁচশো টাকা দিয়ে আমাদের সাহায্য করেন। তাই আমাদের সমালোচনা করার আগে নিজ অবস্থান জেনে এবং পায়ের তলে বৈধ সততার মাটি আছে কি-না সেটা জেনে প্রশ্ন করবেন। আপনারা ভালো থাকুন অন্যকে ভালো থাকতে দিন। আসন্ন ইফতার পার্টির জন্য সকলের সাহায্য এবং ভালোবাসা কামনা করি।
পরিচিতি : যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ / মতামত গ্রহণ : মো. এনামুল হক এনা / সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :