রুহিন হোসেন প্রিন্স ; সরকার মাদক বিরোধী অভিযানের যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এটি বাস্তবায়ন করতে গেলে প্রথমে গোড়ায় হাত দিতে হবে। গোড়া অর্থাৎ মাদক আসে যেসব জায়গা থেকে বা যেখানে এগুলো উৎপাদিত হয়।
সাধারণত আমরা দেখি, মাদকের উৎসস্থল আমাদের দেশের ভেতরে ও বাইরে এবং বড় বড় হোমড়া চোমড়ারাই এর সাথে জড়িত। মাদকের মূল হোতাদের নির্মূল করতে হলে আগে হোমড়া চোমড়াদের নির্মূল করতে হবে। এই ব্যবসা পরিচালনা হয় বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, মাদক বিরোধি এই অভিযানে মূলত এই সব এজেন্টদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। আমরা চাই, এই অভিযান অব্যাহত থাক এবং মূল হোতাদের ধরে আইনের মুখোমুখি করতে হবে ও আইনগত ভাবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো হোতা ধরার খবর পাইনি, যেই হোতাদের নাম বিভিন্ন সময় পত্রিকায় এসেছিলো। ক্রস ফায়ারের নামে যে নিধনযজ্ঞ চলছে, এটি কখনো মাদকের সমাধান করতে পারে না। মাদকের বিস্তার এখন গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। মাদককে প্রতিহত করতে হলে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমি মনে করি, সমাজের প্রতিটি মহল থেকে সামাজিক আন্দোলনের উদ্যেগ গ্রহণ অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আইনগত যে কার্যক্রম আছে, তেমনি সমাজকেও এমন ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের আরো ভালো করে জানতে হবে আমাদের তরুণ সমাজসহ অন্যরা মাদকাসক্ত হচ্ছে কি-না? তরুণদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। এর মানে আমাদের সমাজ তাকে ভবিষ্যত দেখাতে পারছে না এবং প্রকৃতপক্ষে তাকে আমরা কাজের মধ্যে আনতে পারছি না। এসবের জন্য সে মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। তার কাছে সেখানে একটা কাল্পনিক জগত আছে। সুতরাং আজ তাকে স্বপ্ন দেখাতে হবে, তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এই সামগ্রিক কাজ গুলো আমরা করতে পারলে সমাজকে মাদক মুক্ত করতে পারবো।
পরিচিতি : সম্পাদক, সিপিবি/ মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ