সুজন কৈরী : রাজধানীর শনির আখড়ায় লেগুনা থেকে ছিটকে সড়কে পড়ে ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী নুসরাত জাহান ওরফে ঝুমার (২০) মৃত্যুর ঘটনার বিশদিন পর লেগুনাটিকে জব্দ করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে লেগুনাটির চালক আব্দুল জলিলকে। গত রোববার যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ওই চালককে গ্রেফতার করে।
গত ৩০ এপ্রিল শনির আখড়া বাস্ট্যান্ড সংলগ্ন শেখদী রাস্তার মুখে লেগুনা থেকে ছিটকে সড়কে পড়ে ইডেন কলেজের ছাত্রী নুসরাত জাহানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. রাসেল বাদি হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নুসরাত জাহান ইডেন মহিলা কলেজে সম্মান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে। ঢাকায় কদমতলীতে দনিয়া এলাকায় ৮২৯/৮ নুরপুরে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন নুসরাত। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. রেদোয়ান খান বলেন, ঘটনার পর লেগুনাটিকে শনাক্তের জন্য হোম ইকোনোমিক্স কলেজ সংলগ্ন লেগুনা স্ট্যান্ডে গিয়ে চালকদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি স্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি পেট্রল পাম্পের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করাসহ নিউমার্কেট, চাঁখারপুল এলাকা, মেয়র মো. হানিফ ফ্লাইওভারসহ হোম ইকোনোমিক্স থেকে শনির আখড়া রুটে চলাচলকারি সড়কের বিভিন্নস্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেগুলো যাচাই-বাছাই শেষে লেগুনাটিকে শনাক্ত করা হয়। পরে তার চালকের বিষয়ে খোঁজ পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি পলাতক ছিলেন। পরে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় চালককে গ্রেফতার করা হয়।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান চালককে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে বলেন, ঘটনার সময় লেগুনাটিতে শুধু ওই ছাত্রীই ছিলেন। তিনি লেগুনাটির একেবারে সামনে বসা ছিলেন। হেলপার ছিল লেগুনার ভিতরে চালকের কাছাকাছি। শনির আখড়ায় হিমাচল কাউন্টারের সামনে চালক ছাত্রীকে নামার কথা জিজ্ঞেস করে। কিন্তু ছাত্রী নুসরাত জাহান একটু সামনে নামার কথা চালককে জানান। ফলে চালক মনে করেছে যে ওই ছাত্রী রায়েরবাগে নামবেন। চালকের ভাষ্য, শেখদী মুখে নামলে গতি কমিয়ে রাস্তার এক পাশে নিয়ে লেগুনাটি থামাতেন। কিন্তু না নামায় তিনি লেগুনাটি চালানো শুরু করলে নুসরাত পড়ে যান। এরপর ভয়ে সেখান থেকে লেগুনা নিয়ে পালিয়ে যান।
আপনার মতামত লিখুন :