সুশান্ত সাহা : তাহিদুল ইসলাস নূরনবী ও রাসেল শেখ নয়ন একই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গত বছরের জুলাইয়ে বাগেরহাটে নৌকাবাইচ দেখতে যান দু’জন। সেই সময় অসাবধানতায় রাসেলের সাইকেল নূরনবীর গায়ে লাগে এবং তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে রাসেলকে মারধর করেন নূরনবী। এক বছর আগের সেই ঘটনার জের ধরে রাসেল ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী নূরনবীকে খুন করেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
বুধবার দুপুর দেড়টায় কারওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মঞ্জুর মেহেদী ইসলাম।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মী তাহিদুল ইসলাস নূরনবী হত্যার একমাত্র আসামি খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে রাসেলকে গ্রেফতার করে র্যাব-১।
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন রাতে রাসেল ক্যান্টনমেন্ট ইবিএলের ওই বুথে যায়। এসময় হঠাৎ তৌহিদুল ইসলামকে দেখতে পান তিনি। তখন রাসেল ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তৌহিদুল ইসলামকে হত্যা করে।
মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম বলেন, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ২০ মে রাতে নূরনবী বুথে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাসেল ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় লোক নিয়োগের পোস্টারিং করতেন। রাতে তিনি বুথে গিয়ে নূরনবীকে দেখে রাসেল ক্ষিপ্ত হন। এরপর দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপর তাদের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে রাসেল ছুরি দিয়ে নূরনবীর গলায় আঘাত করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর এটিএম বুথের লাইট বন্ধ করে ছুরিটি পার্শ্ববর্তী ড্রেনে ফেলে দেয় এবং সে খুলনা পালিয়ে যায়।
রাসেল ছুরি কোথায় পেয়েছিলেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মী যেহেতু বুথেই থাকতো, সেহেতু কাটাকাটির জন্য ছুরিটি সম্ভবতো সেখানেই ছিল।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২১ মে) সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় ইবিএলের একটি এটিএম বুথ থেকে নিরাপত্তাকর্মী তৌহিদুল ইসলামের (২১) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তৌহিদুল বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান জিএসএস-গেণ্ডাবালের নিরাপত্তা কর্মী । ইবিএলের বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। পর দিন মঙ্গলবার (২২ মে) ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন তৌহিদুলের বাবা।
আপনার মতামত লিখুন :