লিহান লিমা: সহিংসতা এবং হত্যাকান্ডের শিকার হয়ে মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর নাগরিকরা দেশ ছাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ( ইউএনএইচসিআর)।
মঙ্গলবার ইউএনএইচসিআর এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৭ সাল পর্যন্ত মধ্য আমেরিকার উত্তারাংশে ২ লাখ ২৯ হাজারেরও বেশি আশ্রয়প্রার্থীকে নিবন্ধিত করা হয়েছে। এই সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে ৫৮ ভাগ বেশি। ২০১১ সালের পর থেকে এই পর্যন্ত ১৬ বার আশ্রয়প্রার্থীর সংখা বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে বেশিরভাগই এল সালভাদর, গুয়েতেমালা এবং হন্ডুরাসের শরণার্থী। যারা ব্রাজিল, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, পানামা ও কোস্টারিকায় আশ্রয় নেয়। এদের মধ্যে রয়েছে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে পড়া নারী ও শিশু।
ইউএনএইচসিআর আরো জানায়, ‘সীমান্ত পাড়ি দেয়ার সময় নিরাপত্তা ঝুঁকি সত্ত্বেও যৌন নিপীড়ন, নির্যাতন ও সহিংসতার মুখে তারা নিজের দেশ ছাড়ছে।’ তবে সমালোচকরা বলেন, মধ্য আমেরিকার অভিবাসী সমস্যার পেছনে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। ৬০ এবং ৭০ এর দশকে সমাজতন্ত্র মোকাবেলার নামে একাধিক জনপ্রিয় সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিআইএ। এরপর থেকেই দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক সহিংসতায় এ অঞ্চলে মানুষের প্রকৃত উন্নয়ন ব্যাহত হয়।
মঙ্গলবার ইউএনএইচসিআর এর আমেরিকা বিষয়ক মুখপাত্র ফ্রান্সেসকা ফোন্টানিনি বলেন, ‘ আমরা বিশেষভাবে লক্ষ্য করেছি গত বছর থেকে মেক্সিকো আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ট্রানজিট নয় বরং বসবাসের লক্ষ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। কোস্টারিকা, পানামা ও ব্রাজিলে এসে শরণার্থীরা মেক্সিকোতে আসার স্বপ্ন দেখে। এই সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা এবং একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান প্রয়োজন।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ৫০ হাজার হন্ডুরাসের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমোদন বাতিল করেন। এছাড়া সালভাদরের ২ লাখ, নিকারাগুয়ার ২ হাজার ৫০০ ও হাইতির ৫৫ হাজার শরণার্থী এই ঝুঁকিতে পড়েন। আল জাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :