সৌরভ কুমার ঘোষ, কুড়িগ্রাম: স্বাদু পানিতে গলদা চিংড়ি চাষ সম্প্রসারনের লক্ষ্যে ২০১৭ সাল থেকে কাজ শুরু করেছে কুড়িগ্রাম মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার।
গত বছর নিজস্ব খামারে গলদা চিংড়ির রেনু ও পোনা উৎপাদন করে সফলতা পাওয়ায় এ বছরও গলদা চিংড়ির পি.এল (রেনু) উৎপাদন করে কৃষদের মাঝে বিক্রি শুরু করেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কার্প জাতীয় মাছের সাথে গলদা চিংড়ি চাষে কৃষকরা বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন বলে মৎস্য খামার সুত্রে জানা গেছে।
কুড়িগ্রাম মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার সুত্রে জানা গেছে, মিঠা পানিতে গলদা চিংড়ি চাষ সম্প্রসারনের লক্ষে বরগুনার আমতলী ও পায়রা নদী থেকে মা চিংড়ি এবং পেকুয়া, চকরিয়া কক্সবাজার থেকে লবনাক্ত পানি সংগ্রহ করে আনা হয়। এরপর লবনাক্ত পানিতে স্বাদু পানি মিশিয়ে সেখানে মা মাছের ডিম ফোটানো হয়। পরে সেই ডিম স্বাদু ও লবনাক্ত পানির মিশ্রনে ২৮ থেকে ৩২ দিন পর্যন্ত প্রক্রিয়া জাত করে পি.এল (রেনু)তে পরিনত করা হয়।
গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও জেলায় স্বাদু পানিতে চিংড়ি চাষ সম্প্রসারন প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রামে মৎস্য বীজ খামারে উৎপাদিত গলদা চিংড়ির পি.এল(রেনু) মৎস্য চাষীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে চিংড়ির পি.এল বিক্রী কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান।
কুড়িগ্রামে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, আমরা স্বাদু পানিতে গলদা চিংড়ি চাষে সফলতা পেতে শুরু করেছি। কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে উঠছে। আশা করছি আগামী বছর গুলোতে এ জেলায় ব্যাপক হারে গলদা চিংড়ি চাষ শুরু হবে।
আপনার মতামত লিখুন :