তরিকুল ইসলাম সুমন : নদী দখল ও দূষণকারিদের সরকার কোন ছাড় দিবেনা। তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। যেমনটি সরকার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দেখিয়েছে এবং মাদকের বিরুদ্ধে দেখাচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বুধবার বিকালে ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে এক ভাসমান আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

নদী নিরাপত্তায় সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর’ ২৩ মে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

শাজাহান খান বলেন, মালিক, শ্রমিক, যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতা সৃষ্টির ফলে নৌদুর্ঘটনা হ্রাস করতে পেরেছি। সকলের সহায়তায় বিগত তিন বছরে বড় ধরণের কোন লঞ্চডুবি হয়নি। নৌদুর্ঘটনামুক্ত রাখতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, দুর্ঘটনারোধে জনগণের মাঝে সচেতনা গড়ে তুলতে সরকার ২০০৯ সাল থেকে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করে আসছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একসময় ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ ছিল। বিগত সরকারগুলোর অযতœ ও অবহেলায় তা ৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করেছে। নদী খননের জন্য ড্রেজার প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯-২০১৪ মেয়াদে ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে। বর্তমান মেয়াদে ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে।

‘নোঙর’ এর সভাপতি সুমন শামসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডবিøউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবউদ্দিন আহমেদ, পরিবেশবিদ মিহির বিশ্বাস, ইসহাক খান ও শমসের আলী।