আমিন মুনশি: সুন্নত ও নফল নামাজ সাধারণ নিয়মে জামাত নিষিদ্ধ। অথচ তারাবি নামাজের জামাত বিধিবদ্ধ হয়েছে। রাসূল (সা.) নিজে নিয়মতান্ত্রিকভাবে জামাতের ব্যবস্থা করেননি উম্মতের উপর ফরজ হয়ে যাওয়ার ভয়ে। সালাতুত তারাবির বর্তমান নিয়মটি চালু হয়েছে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ফারুক (রা.)-এর সময়ে। এর আগে রাসূল (সা.) ও হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)এর সময়ে এমনকি হজরত ওমর ফারুকের খেলাফতকালের প্রথম ভাগেও মুসলমানরা রমজানের রাতগুলোতে এশার নামাজের পর অতিরিক্ত যে সালাত আদায় করতেন, তা একাকী করতেন। এ জন্য জামাত বা সম্মিলিত কিছুর আয়োজন ছিল না।এক রাতে হজরত ওমর ফারুক (রা) দেখলেন লোকেরা বিক্ষিপ্তভাবে ইবাদত করছে। হজরত ওমর (রা) এদের সবাইকে একজন তিলাওয়াতকারীর পেছনে জামাতের সাথে তারাবীহ পড়ার জন্যে একত্র করে দিলেন। এরপর আরেকদিন দেখলেন, হজরত উবাই (রা.)এর ইমামতিতে তখন তারাবির নামাজ চলছে। পরিবেশটি দেখে ওমর (রা) মুগ্ধ হলেন এবং বললেন, চমৎকার আবিষ্কার এটি। ওমর (রা.) এই কথাটি শাব্দিক অর্থে পারিভাষিক অর্থে নয়। তারাবির নামায অন্য সব নফলের মত নয়। তারাবির মাকাম-মর্যাদা সাধারণ নফল নামায থেকে অনেক উর্দ্ধে। আল্লাহ্ আমাদের কে রমযানের ফাযাযেল ও বারাকাত হাসেল করার তাওফীক দান করেন। আমীন।
আপনার মতামত লিখুন :