শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০১৮, ০৪:৩৬ সকাল
আপডেট : ২৩ মে, ২০১৮, ০৪:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সেন্টমার্টিনকে বাঁচাতে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে: বনমন্ত্রী

মতিনুজ্জামান মিটু : পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপকে বাঁচাতে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। মঙ্গলবার আগারগাঁও এর এলজিইডি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিরল জীববৈচিত্র্য এবং প্রতিবেশ সংরক্ষণকল্পে জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ অধিদপ্তর এ কর্মশালা আয়োজন করে। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও সচিব আদুল্লাহ আল মহসীন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ। সেন্টমার্টিনের বিরল জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ সোলায়মান হায়দার।

মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য হারিয়ে যাচ্ছে। এখন সী বিচ টুকু ছাড়া আর কিছু নেই। সেখানেও শব্দতে টেকা যায়না। অত্যাচার সহ্য করে এই জায়গা কিভাবে টিকে আছে তা আশ্বার্য্য মনে হয়। হোটেল মোটেল যা কিছু করা হচ্ছে তাসব লাভের জন্য। এতে এলকার কি ক্ষতি হচ্ছে তার চিন্তা করা হচ্ছে না। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য হারিয়ে গেলে এখানে কেউ আসবেনা, হোটেল মোটেলেও কেউ থাকবেনা। অতিরিক্ত পর্যটক ও বর্জ্যসহ সেন্টমার্টিনের জন্য হুমকি এমন সব বিষয় চিহ্নিত করে অতি দ্রুত তার সমাধান করতে হবে। এজন্য স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব। কর্মশালার মুক্ত আলোচনায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের জন্য হুমকি এমন সব বিষয় উঠে আসে। এতে বলা হয়, সেন্টমার্টিনে প্রতিদিন কতজন পর্যটক আসে এবং রাত্রি যাপন করে তার হিসেব নেই। পয় নি:স্কাশনের কোনো ভাবনা নেই, জেনারেটরের কম্পনে কোরালের তৈরী এই দ্বীপের মারাত্মক ক্ষয় হচ্ছে। পর্যটকদের সঙ্গে আনা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোনো ভাবনা নেই। প্রতিদিন কত টন বর্জ্য হয় তার হিসেব নেই। বেশির ভাগ জায়গা স্থানীয়দের কাছ হতে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের বিত্তশালীদের হাতে চলে যাচ্ছে। বেপরোয়াভাবে গড়ে উঠছে হোটেল ও মোটেল। সেখানে স্থানীয়দের উপস্থিতিও বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। ওদের বাসায় হানা দিলে এক বস্তা করে ইয়াবা পাওয়া যাবে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরে সেন্টমার্টিন বলে কিছু থাকবেনা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়