সাইদ রিপন: চার হাজার ২৫৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে পদ্মাসেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন করে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এই প্রকল্পটির মূল বরাদ্দ ছিলো ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। বর্তমানে প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। তবে প্রকল্পটি মূল কাজ এখনো শুরু হয়নি। ব্যয় বৃদ্ধির বেশিরভাগ টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করা হবে। অন্যদিকে এই প্রকল্পটির মূল দাতা সংস্থা চীনের ঋণ সহায়তা কমেছে। ২০১৬ সালের ৩ মে পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে নতুন রেলওয়ে স্থাপনের লক্ষ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছিলো একনেক। জানুয়ারি ২০১৬ থেকে জুন ২০২২ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা থাকলেও সময় বাড়ছে জুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় এই প্রকল্পটিসহ ৯৬ হাজার কোটি টাকার ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এতে সভাপত্বি করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ নিশ্চিত করেছেন। প্রকল্পটির বৈদেশিক সহায়তা কমার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের ব্যয় বাড়ার অন্যতম কারণ হলো ভূমি অধিগ্রহণ। মূল দামের চেয়ে তিনগুণ বেশি দামে এই ভূমি অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে, যাতে চীন রাজি হয়নি। তাই দেশীয় অর্থেই এই ব্যয় মেটানো হচ্ছে। জানা গেছে, মূল এখনও কাজ শুরু হয়নি। শুধু ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন কাজ চলছে। এর ফলেই বাড়ছে সময় ও ব্যয়। রাজধানী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ১৬৯ কিলোমিটার নতুন রেলপথটি যশোরে মিলিত হবে। এর নির্মাণে ৪ হাজার ২৬৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী (পিইডিপি-৪) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর জন্য ব্যয় হবে ৩৮ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। এটি জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২৩ সালে বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ প্রকল্পের আওতায় সকল ছাত্র-ছাত্রীদের পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতা এবং ট্রাফিক আইন-কানুন বিষয়ে শিখাতে হবে। প্রতিটি ক্লাস রুমের ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা দরজা থাকতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :