শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০১৮, ০৭:২২ সকাল
আপডেট : ২২ মে, ২০১৮, ০৭:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবারের বিশ্বকাপ কি নতুন দল জিততে পারবে?

সুফিয়ান শুভ: ফুটবল বিশ্বকাপের ২১তম আসর শুরু হতে যাচ্ছে রাশিয়ায়। ২২ দিন পর জমকালো এই আসরের পর্দা উঠতে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ২০টি বিশ্বকাপ জিতেছে আটটি দেশ। বিশ্বকাপ জয়ী দেশগুলো হচ্ছে ইউরোপের ইতালি (৪ বার), জার্মানি (৪ বার), ইংল্যান্ড (১ বার), ফ্রান্স (১ বার) ও স্পেন (১ বার) এবং দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল (৫ বার), আর্জেন্টিনা (২ বার) ও উরুগুয়ে (২ বার)। ২০টি বিশ্বকাপের মধ্যে ১১ বার ইউরোপ এবং নয়বার দক্ষিণ আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হয়। অথচ বিশ্বকাপ জয় করতে পারত আরো কয়েকটি দেশ। বিশেষ করে হাঙ্গেরি ও নেদারল্যান্ডস। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নও (বর্তমান রাশিয়া) চ্যাম্পিয়ন হতে পারত। আর স্পেনের শিরোপা জয়ের স্বপ্নপূরণ আরো অনেক আগেই হতে পারত। ফ্রান্সের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। অথচ ব্রাজিল, ইতালি, জার্মানি যেন বিশ্বকাপের অঘোষিত রাজা বনে গেছে। ২০ বারের মধ্যে তারাই জিতেছে ১৩ বার। মাত্র তিনটি দেশ একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। নতুন দেশের চ্যাম্পিয়ন হতে এখন অনেক সময় লাগছে। সেই হিসাবে এবারও হয়তো নতুন কোনো দেশের শিরোপা জয় করা সম্ভব নয়। শিরোপা ঘুরে ফিরে হাতে তুলবে পুরনো রাজারাই।

১৯৯৮ সালে ফ্রান্স সপ্তম দেশ হিসেবে শিরোপা জয় করে। অষ্টম দেশ দেখতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১২ বছর। ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনা ৬ষ্ঠ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর ২০ বছর সময় লাগে নতুন একটি দেশের এই মর্যাদাপূর্ণ শিরোপাটি করায়ত্ত করতে। আবার আর্জেন্টিনা ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের পর ১২ বছর পর ওই তালিকায় নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছিল।

মজার ব্যাপার হলো, এই আটটি দেশের বাইরে মাত্র দুটি দেশ দুইবার শিরোপা জয়ের ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছিল। ১৯৫৪ সালে পুসকাসের হাঙ্গেরি এবং ১৯৭৪ সালে যোহান ক্রুয়েফের নেদারল্যান্ডসের বঞ্চনার কথা সবাই স্মরণে রেখেছে। উভয় দেশই পুরো টুর্নামেন্টে ভালো খেলেও ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নেয়। কিন্তু অন্য দেশগুলো তেমন কোনো সম্ভাবনাই সৃষ্টি করতে পারেনি।
আবার যে আটটি দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তাদের মধ্যে একমাত্র উরুগুয়েই তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারেনি। অন্য দেশগুলো অর্থাৎ ইতালি, জার্মানি, ব্রাজিল, ইংল্যান্ড, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স কিন্তু আগে এবং পরে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পেরেছিল। বিশ্বকাপে ফ্রান্স বলা যায় অনেক পরে শিরোপার স্বাদ পেয়েছে। ১৯৯৮ সালে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়। অথচ বিশ্বকাপে তাদের যে অবদান তাতে তাদের আরো অনেক আগেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা ছিল। তাদের অবদান কেবল ফিফা গঠন কিংবা জুলে রিমে ট্রফির প্রবর্তন কিংবা বিশ্বকাপ শুরুর মধ্যেই নয়, মিচেল প্লাতিনি, জাস্ট ফতেই’র মতো প্রবাদপ্রতীম খেলোয়াড়ের জন্মদাতাও তারা।

বিশেষ করে কয়েকটি দেশের শিরোপা পাওয়া ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক, গ্রিস প্রভৃতি দেশ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেছে, অথচ বিশ্বকাপে বরাবর ব্যর্থ হচ্ছে।

এবারও ব্যতিক্রম হবে না। কারণ নতুন কোনো দেশের উত্থান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। জার্মানি, ব্রাজিল, ইংল্যান্ড ও আর্জেন্টিনাই বলা যায় ফেবারিট। ইতালি তো বিশ্বকাপের টিকেটই পেল না। তাই পুরনো দলগুলোর যে কোনো একটির হাতেই শিরোপা শোভা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে।

লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, সাম্প্রতিক সময়ে নতুন কেউ চ্যাম্পিয়ন না হলেও প্রায় প্রতিবারই নতুন নতুন দেশ সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠে আসছে। ১৯৯৪ সালে বুলগেরিয়া, ১৯৯৮ সালে ক্রোয়েশিয়া, ২০০২ সালে তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া, ২০০৬ সালে পর্তুগাল (যদিও তারা ১৯৬৬ সালেও সেমিফাইনালে পৌছেছিল) শিরোপার বেশ কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। কিন্তু সেখান পর্যন্ত। আফ্রিকার দেশগুলোকে নিয়ে খুব আশাবাদের সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত সেমিফাইনালেও পৌছতে পারেনি। দক্ষিণ আমেরিকার পর আফ্রিকান ফুটবলাররাই বেশি সংখ্যায় ইউরোপে খেলে। নামিদামী ক্লাবগুলো আফ্রিকানদের উপর ভরসা করেই দল গড়ে। আবার আফ্রিকান দেশগুলোর কোচ পদে আসছেন ইউরোপ থেকে। তাই তাদের আরো এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
কেন নতুনরা তেমন সফল হয় না?

এর পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। ফুটবল বিকাশে যে ধরনের সামর্থ্য থাকতে হয়, অবকাঠামোগত সুবিধার প্রয়োজন হয়, তা অনেক
দেশেরই নেই। তাছাড়া ফিফারই একটি গোষ্ঠী নানাভাবে কাজ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠিত শক্তিগুলোকে তারা নানাভাবে সহায়তা করে থাকার কথা প্রচলিত রয়েছে। বিশেষ করে রেফারিদের কালো হাত নতুনদের প্রতি অত্যন্ত নির্মম আচরণ করে থাকে। নয়াদিগন্ত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়