শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০১৮, ০৫:৫৯ সকাল
আপডেট : ২২ মে, ২০১৮, ০৫:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বাণিজ্য ও দুর্নীতি করার পথ বন্ধ করায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে’

আশিক রহমান : উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার প্রথমদিন থেকেই আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চলছে। কারণ রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নানারকমের বাণিজ্য চলত। চাকরি বাণিজ্য, প্রকল্প থেকে নয়-ছয় করার বাণিজ্য ইত্যাদি। দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি শক্ত হাতে তা মোকাবেলা করেছি। এবং অনিয়ম-দুর্র্নীতির সব পথ বন্ধ করে দিয়েছি। অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। বলেছি, কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি চলবে না। সামনে শিক্ষক নিয়োগের কিছু বিষয় রয়েছে, সেখানে বেশকিছু কঠিন শর্ত দিয়েছি। সেখান থেকে বাণিজ্য করা খুব ডিফিকাল্ট বলেন মনে করেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের কথাবার্তা বলা হচ্ছে। কারা করছে এসব? ঘুরেফিরে তিন-চারজন লোক। শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, নীল দলের সাবেক সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক। এরকম তিন-চারজন লোক ম্যান্ডেট পায়নি, শিক্ষক সম্প্রদায় তাদের প্রত্যাখান করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা থাকার বিষয়টি কোনো ইস্যুই নয়। কারণ আমাকে তো বিশ্ববিদ্যালয়টাকে গতিশীল করত হবে। আমার রিসোর্স ঢাকায়। সরকারের মন্ত্রণালয় ঢাকায়। ধরুন, সিলেকশন কমিটির একটা মিটিং করব, এক্সপার্টরা ঢাকায়, তারা কি রংপুরে যেতে চাইবেন? এক্সপার্ট ছাড়া আমি মিটিং করতে পারব? বিভিন্ন কারণে অনেকগুলো মিটিং আমাকে ঢাকায় করতে হয়। ঢাকার অফিসে করতে হয়।

ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আমাদের নিয়োগের শর্তে যে কথাটি বলা আছে, সেটা হচ্ছে যে আপনি সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, ডেলিগেট করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ ভাইস-চ্যান্সেলরদের ছুটির কোনো প্রভিশনই নেই। ছুটিটা হবে শুধু বিদেশে গেলে। ছুটি দেবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি, তখন এটা প্রজ্ঞাপন জারি হবে। ষোলো কোটি মানুষ জানবে যে এই মানুষটি ছুটিতে রয়েছেন। এছাড়া ছুটি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব। বাংলাদেশের জল-স্থলসীমা যেখানেই অবস্থান করি, সেখানেই আমি বেগম রেকোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর।
তিনি বলেন, আমরা এখন ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা এখন ই-ফাইলিং, ই-টেন্ডারিং এবং ই-অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম চালু করেছি। দেশের যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দেশের বাইরে থাকেন তখন কী তিনি অফিস করেন না? কোনো ফাইল কি আটকে থাকে? থাকে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়