আবুল কাশেম ইয়াছিন: ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে ইফতারে রয়েছে যেমন অসামান্য ফজিলত তেমনি ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার পূর্ণ নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন। সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোজাদার ব্যক্তি ইফতার করবে। দেরি না করে মাগরিবের নামাজের আগে ইফতার গ্রহণ করার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন প্রিয়নবি (সা.)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া (আল্লাহর কাছে) ব্যর্থ হয় না।
১. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া।
২. ন্যায় বিচারক বাদশাহর দোয়া।
৩. মজলুমের দোয়া। (মুসনাদে আহমদ)
তাইতো রোজাদারের জন্য পুরো রমজান মাস জুড়ে বিভিন্ন আবদার পাশ করিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ হলো ইফতারের সময়। ইফতারকারী ইফতার সামনে নিয়ে আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইলে তিনি খালি হাতে ফেরত দেবেন না। এ কারণেই রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজাদার ইফতারকারীর জন্য সাওয়াব ও কল্যাণ স্থির হওয়ার বিষয়ে আগাম ঘোষণা দিয়েছেন এবং রোজার শোকরিয়া স্বরূপ এভাবে দোয়া করতে বলেছেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন,
উচ্চারণ : ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’
অর্থ : ‘ (ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো” (আবু দাউদ, মিশকাত)
আপনার মতামত লিখুন :