শিরোনাম
◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০১৮, ০২:২৯ রাত
আপডেট : ২২ মে, ২০১৮, ০২:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভবিষ্যত যুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অস্ত্র চায় ভারত

রাশিদ রিয়াজ : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অস্ত্র সংগ্রহ থেকে পিছিয়ে থাকতে চায় না ভারত। তা সংগ্রহ অথবা তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। এধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অনেকখানি এগিয়ে গেছে চীন। রোবটিক যুদ্ধে তাই যাত্রা শুরু করতে চায় ভারত। সাইবার নিরাপত্তায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে এবং এ অঞ্চলে কৌশলগত প্রতিবন্ধকতা স্থাপন ও সম্ভাব্য এধরনের রুপান্তরিত অস্ত্রযুদ্ধে এগিয়ে থাকার জন্যে ভারত ১৭ সদস্যের একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া

এ টাস্ক ফোর্স যে সুপারিশ করবে সেই অনুসারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্জন করে উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তির দেশে পরিণত হবে ভারত। প্রতিরক্ষায় রক্ষণাত্মক ও আক্রমণাত্মক প্রয়োজন মিটানো ছাড়াও বিশেষ করে আকাশ পথ, সাগরে ও স্থলে সাইবার, নিউক্লিয়ার ও বায়োলজিকাল যুদ্ধে সম্মুখ সমরে থাকতে চায় ভারত।

ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার বলেছেন, বিশ্ব এখন কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তায় পরিচালিত যুদ্ধ প্রস্তুতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেনাবাহিনীকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রস্তুত করে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্যে রোডম্যাপ তৈরি করে তা বাস্তবায়নে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে এ টাস্কফোর্সে যোগ দিয়েছেন ভারতের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর লোকবল ছাড়াও দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ও পারমানবিক শক্তি কমিশনের বিশেষজ্ঞরা। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ টাস্ক ফোর্স তাদের সুপারিশ জমা দেবে কিভাবে ও কোথায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা যাবে। এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে টাস্ক ফোর্স ঠিক করবে কি ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে এক্ষেত্রে।

গত এপ্রিল মাসে চেন্নাইতে প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সামরিক শক্তি অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মোদি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সামরিক ক্ষেত্রে রোবটের ব্যবহার সম্ভবত রক্ষণাত্মক ও আক্রমণাত্মক ক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে যে কোনো দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সক্ষমতার জানান দেবে। ভারত তার তথ্য প্রযুক্তি সক্ষমতা দিয়ে এধরনের প্রযুক্তি করায়ত্ত করতে এগিয়ে যাবে। মোদির এ ঘোষণার একদিন আগে ওপিইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয় সরকার ২.১ মিলিয়ন ডলার খরচে আরো বিধ্বংসী অস্ত্র ও ট্যাঙ্ক উৎপাদন করছে যা সম্ভাব্য ৩০দিনের যুদ্ধে কাজে লাগবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়