নিজস্ব প্রতিবেদক : বাঙালী কী পরিমাণ ঈর্ষাকাতর হইতে পারে তাই দেখতাছি! দেশ যারা চালান, কতো অনিশ্চয়তার মধ্যে তারা এই দেশ পরিচালনার কাজ করেন!  কখন কী হয় এই দেশে তার কোনো ঠিক ঠিকানা আছে! এই মরার দেশে ছেলেমেয়েদের পর্যন্ত রাখতে সাহস করা যায় না। একটা টাকা পর্যন্ত দেশে রাখার ভরসা হয় না। কবে কোথায় কার প্ররোচনায় আবার দুদক-ফুদক জ্বালাইতে শুরু করবে, তার নিশ্চয়তা কে দেবে? কার কখন কোন দেশে ঠাঁই নিতে হয় আল্লাহমালুম! এই অবস্থায় আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়ায় সন্তানদের পাঠায় দিতে বাধ্য হইতে হয়। সেই দূর দেশে থাকা সন্তানদের সাথে ভালভাবে কথা বলার ব্যবস্থা করতে সরকার আগায় না আসলে কে আগায় আসবে? কে তাদের একটু ভাল মোবাইল সেটের ব্যবস্থা করবে, বলেন?

কিন্তু বাঙালীর তা সহ্য হবে কেন? কী হিংসারে ভাই পেটে পেটে! এতো ঝুঁকি নিয়া যদি তারা দেশের কাজ করতো তাইলে বুঝতো সে তুলনায় ৭৫ হাজার টাকার মোবাইল সেট কোন উপহারই না। উনাদের কি কোনো উপরি আয় আছে যে তাই দিয়া কোনো ভাল জিনিস কিনবেন?

ঈর্ষাই এই বাঙালীর পতনের মূল। সরকারের কোনো একটা কাজের প্রশংসা যারা করতে পারে না তারা পাকিস্তানে গিয়া মরুক! বাংলাদেশে তাদের থাকার দরকার নাই।

এতো উন্নতি হইছে দেশের, তারপরও সামান্য একটা মোবাইল সেটের টাকা নিয়া এতো কথা! সব ফহিন্নির পুত!

(চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আর রাজী’র ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া)