সাজিয়া আক্তার: এক শীষে হাজার ধান, নিজের হাতে এমন স্বপ্ন বুনেছেন বাগেরহাটের নারী কৃষক ফাতেমা। যা আশাবাদ করে তুলেছে কৃষি অধিদপ্তরকেও। তিন বছর আগে তিনটি এই ধানের শীষ পেয়েছিলেন ফাতেমা ও তার ছেলে। পরের বছর যা বুনে পান কেজি বিজ। সেই বিজ এবার চাষ করেন এক বিঘা জমিতে।
নারী কৃষক ফাতেমা বলেন, ৩ বছর আগে আমি ৩টি ধানের শীষ পেয়েছিলাম, আর সেই বীজ জমিতে বোনার পর তা থেকে দুই কেজি ধান পাই। আর এই ধানের বীজ দিয়ে এবার এক বিঘা জমিতে অনেক ধান পেয়েছি আমি। আমাদের খুব ভালো ধান হয়েছে।
সাধারণ ধানে যখন বিঘা প্রতি ধান আঠারো মন সেখানে ফাতেমা ফলন পেয়েছে ৩৫ মনের মতো। যা আশাবাদ করে তুলেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকেও।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় কৃষি অফিসার মোতাহার হোসেন বলেন, এই ধানের শীষ প্রায় ১৫ ইঞ্চির মতো লম্বা, এই ধান গাছের পাতাগুলো দের ইঞ্চির মতো লম্বা। ধানে শীষে প্রায় ১ হাজার থেকে ১১’শ পর্যন্ত এর দানা আছে। তাই আমরা মনে করি এটা বিরল প্রজাতির একটা ধান।
ধান গবেষণা ইন্সস্টিটিউট বলছে ফাতেমার ধানের চিটার পরিমান অনেক বেশি, এটা কমানো গেলে বাড়বে ফলনো।
মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর বলেন, আমরা যদি চিটাটাকে কমাতে পারি তাহলে অনেক ফলন প্রায় ১৫ টনের মতো হতে পারে। সেই জন্য আমরা এই ধানগুলো পরীক্ষা করছি।
কৃষি বিজ্ঞানীরা বলেন গবেষণার মাধ্যমে এই ধানে স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত একে আলাদা জাত হিসেবে ঘোষণা করা ঠিক হবে না। তা না হলে হরিধান, নূর ধানের মতো অল্প দিনের মধ্যে কৃষকের মাঠ থেকে হারিয়ে যাবে।
সূত্র: চ্যানেল ২৪
আপনার মতামত লিখুন :