ইমরুল শাহেদ : ল-নের এ্যাভেনফিল্ড মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের জবানবন্দি গতকাল সোমবার রেকর্ড করা হয়েছে ইসলামাবাদের জবাবদিহিতা আদালতে। জবানবন্দিতে তিনি ল-নের সম্পত্তির মালিকানা অস্বীকার করেছেন। এই সম্পত্তি কেনার জন্য গোপনে অর্থ লেনদেনের বিষয়টিও তিনি প্রত্যাখান করেছেন।
নওয়াজ শরীফ ও তার পরিবারের সদস্যরা ন্যাশনাল এ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) দায়ের করা আরও তিনটি মামলা মোকাবিলা করছেন। মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে এ্যাভেনফিল্ড প্রোপার্টিজ, আল-আজিজিয়া এবং ফ্ল্যাগশিপ ইনভেস্টমেন্ট কোম্পনি। এই মামলাগুলো ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই পানামা পেপার কেলেংকারির রায়ের সময় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে দায়ের করা হয়েছে।
পিএমএল-এন প্রধান, তার মেয়ে মরিয়ম এবং মরিয়মের স্বামী ক্যাপ্টেন (অব) মুহাম্মদকে আত্মপক্ষ সমর্থনে সিআরপিসির ৩৪২ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য বলা হয় এবং ১৯তম প্রোসিকিউশনের সাক্ষ্যতে যেসব অসঙ্গতি রয়েছে তাও তুলে ধরতে বলা হয়।
জবাবদিহিতা আদালতের বিচারপতি মুহাম্মদ বশির ১২৮ প্রশ্নের একটি প্রশ্নপত্র তৈরি করেন এবং সেটি ১৬ মে নওয়াজ পরিবারের কৌশুলির হাতে তুলে দেন। প্রশ্নপত্র অনুসারেই আদালত আদালত নওয়াজের কাছে জানতে চান তিনি বেনামে নেসকল এবং নিয়েলসেনের মালিক কিনা। এই দুটি অফশোর কোম্পানিকে ল-নের ফ্ল্যাটগুলোর মালিক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
জবানবন্দিতে নওয়াজ বলেছেন, ‘আমি কোনোভাবেই ল-নের সম্পদের সঙ্গে জড়িত নই।’
অর্থ লেনদেন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অর্থ লেনদেনের ব্যাপারে তারিক শাফির এ্যাফিডেভিটে যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে তার কোনোটার সঙ্গেই আমি জড়িত নই এবং দেখেনিও কিভাবে লেনদেন হয়েছে।’
তারিক শাফি নওয়াজ শরীফের আত্মীয়। তিনি তার এ্যাফিডেভিটে দাবি করেছেন যে, ১৯৮০ সালে কাতারের ক্ষমতাশীন পরিবারের কাছে গালফ স্টিল মিলস বিক্রি করা নগদ ১২ মিলিয়ন দিরহাম প্রদান করেছেন নওয়াজ শরীফ। এই এ্যাফিডেভিটটি করা হয়েছে ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি। তার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে হোসাইন শরীফের একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিও।
নওয়াজ শরীফ বলেছেন, ল-ন এপার্টমেন্ট নিয়ে তার ছেলে হোসাইন উচ্চাদালতে কি বিবৃতি পেশ করেছে সে সম্পর্কেও তিনি কিছু জানেন না। হোসাইনও এই মামলায় অভিযুক্ত এবং বর্তমানে তিনি ফেরার রয়েছেন। ডন
আপনার মতামত লিখুন :