কোটা সিস্টেম তুলে দেওয়ার কথাই প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে ঘোষণা করেছেন এবং সেটা কার্যকর করাও হয়েছে। আমাদের মতে, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে অনেকদিন হলো। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা আনুমানিক দেড় লক্ষ। এই লক্ষাধিক মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন ৩০ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষের উপর বীরাঙ্গনা। এটা ঠিক, মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন। এটাও ঠিক, মুক্তিযোদ্ধারা সফল হয়েছেন এসব সহযোদ্ধা আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার সহযোগিতার কারণে।
এসব বিচারে রাজাকাররা বাদে বাংলাদেশের তৎকালীন সাত লক্ষ লোকের সবাই কম-বেশি মুক্তিযোদ্ধা। সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার ব্যবস্থা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের আরো সুবিধা দেয়া হোক। কিন্তু এখনো যদি তাদের ছেলে-মেয়ে, নাতী-নাতনীরা কোটার সুবিধা আশা করে, তাহলে এটি আমরা গ্রহণযোগ্য মনে করি না। তবে আমাদের সমাজে কিছু বঞ্চিত, কিছু পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী, কিছু আদিবাসীসহ এরকম আরো অনেকে আছে। তাদের জন্যে বিশেষ ভাবে কোটা সুবিধা রাখা দরকার। তাই বীরাঙ্গনা ও শহীদদের প্রতি সম্মান রেখে মুক্তিযোদ্ধা কোটার সংস্কার জরুরি।
পরিচিতি : রাজনীতিক ও কলামিস্ট/ মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :