শিরোনাম

প্রকাশিত : ২১ মে, ২০১৮, ০৫:২৪ সকাল
আপডেট : ২১ মে, ২০১৮, ০৫:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নবুয়তের শ্রেষ্ঠ প্রমাণ আল কুরআন

আমিন মুনশি: কুরআনুল কারিম রাসুল (সা.)-এর নবুয়তের শ্রেষ্ঠ মুজিজা। যার সত্যতায় তিনি উম্মুক্ত চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেছিলেন; যারা কুরআনকে রাসুলের বানানো কথা বলে প্রচার করেছিলো তাদের প্রতি। আল্লাহ পাক বলেন- ‘এতদসম্পর্কে যদি তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকে যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, তাহলে এর মত একটি সূরা রচনা করে নিয়ে এসো। তোমাদের সেসব সাহায্যকারী তাদেরকে সঙ্গে নাও-এক আল্লাহকে ছাড়া, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো। আর যদি তা না পার, অবশ্য তা তোমরা কখনো পারবে না, তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৩-২৪)

পবিত্র কুরআনে এ স্থায়ী চ্যালেঞ্জ বিগত দেড় হাজার বছর যাবত অবিশ্বাসীদের প্রতি করে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক সময়ে কুরআনের সবচেয়ে ছোট সুরা ‘সুরাতুল কাউসার’ কাবা ঘরের সামনে লিখে রাখা হয়েছিল। তৎকালীন যুগের আরবি ভাষার মহাপ-িত কবি-সাহিত্যিকগণ সর্বশক্তি ব্যয় করে অনুরূপ সুরা রচনায় ব্যর্থ হয়েছিল। তাই জনৈক কবি সুরা কাউসারের নিচে এ কথাটি লিখে রেখেছিল- ‘লাইসা হা-জা কালামুল বাশার’ অর্থাৎ এটি কোনো মানুষের কথা নয়; এর মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।
আধুনিক বিজ্ঞানের এ যুগেরও কুরআনুল কারিম, রাসুল (সা.)-এর প্রতি অবিশ্বাসী লোকের অভাব নেই। এ কথা সর্বজনবিদিত এবং স্বীকৃত যে, কুরআন যেমন সত্য তেমনি রাসুল (সা.)-এর রিসালাতও সত্য। তথ্য-প্রমাণ দিয়ে তাওহিদ ও রিসালাতের মোকাবেলা করা আদৌ কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তাইতো আল্লাহ পাক অপর আয়াতে ঘোষণা করেন- (হে রাসুল!) আপনি বলুন, যদি মানব ও জ্বিন এই কুরআনের অনুরূপ রচনা করে আনয়নের জন্যে জড়ো হয়, এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না। (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৮৮)

সুতরাং যখন কুরআনের অনুরূপ সুরা তৈরি করা সম্ভব নয়, এমতাবস্থায় কুরআন ও রিসালাতের বিরোধিতা করার ভ্রান্ত নীতি পরিহার করা এবং কুরআন-সুন্নাহর শিক্ষা অনুযায়ি জীবন-যাপন করে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে আত্মরক্ষা করার চেষ্টা করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়