শিরোনাম

প্রকাশিত : ২১ মে, ২০১৮, ০৩:০৯ রাত
আপডেট : ২১ মে, ২০১৮, ০৩:০৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক, দেশ ছাড়ছেন অনেকে

রাশিদ রিয়াজ : জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের মতো মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করা হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলায় গত ৪ ঠা মে থেকে শুরু হওয়া অভিযান ও বন্দুক যুদ্ধে ১৬ জন মারা গেছেন। ‘চল যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক কার্যক্রমে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অন্যদিকে র‌্যাবের ডিজি বলেছেন, মাদকের শিকড়-বাকড় তুলে নিয়ে আসব। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তের মত এ অভিযান চলছে কি না তা স্পষ্ট হতে দিন কয়েক সময় লাগবে তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, আমাদের ভবিষ্যত মেধাকে রক্ষা করতে মাদক দমন করতেই হবে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ-র‌্যাব সর্বত্র অভিযান পরিচালনা করছে। এবং এটা সব সময় চলবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই অভিযান শুরু হয়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে হবে। এই অভিযানের স্লোগান হচ্ছে চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধে জনগণেরই জয় হবে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ জন্য যার যার অবস্থান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে বলেছেন।

একই সঙ্গে দেশব্যাপী ১০ লাখ পোস্টার-লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে জাতিগত যুদ্ধ করতে হবে। ’৭১ সালের পর বিভিন্ন ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হয়েছি। এবারও আশা করি এর একটা ভালো ফলাফল পাবো, মানুষ বিজয়ী হবে। মাদকের খুচরা বিক্রেতা থেকে শুরু করে ডিলার সে যেই হোক, তাকে এ পেশা ছাড়তে হবে। হুএভার, হোয়াটএভার, হোয়ারএভারকেউ আমাদের অপারেশনের বাইরে নয়। এছাড়া কারো কাছে মাদক থাকলে তা র‌্যাবের কাছে জমা দিয়ে আসতেও বলা হয়েছে।

অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। পাঁচ শতাধিক মামলা হয়েছে। ২০ বছরের সমস্যা ২০ দিনে সমাধানের প্রত্যাশা না করার কথাও বলা হয়েছে। বিশেষ ট্রার্গেট মাদক ব্যবসায়ীরা। বিমানবন্দর ও সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এক টেকনাফেই ৬০ গডফাদারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ইয়াবা ব্যবসা। দেশব্যাপী ইয়াবা পাচার ও সরবরাহ তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা থাকছে ধরাছোয়ার বাইরে। গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাদক নির্মুলের বিশেষ অভিযানে র‌্যাব ২৪৫১ জন মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। তবে তারা কেউ গডফাদার নন। গ্রেফতারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে গডফাদারদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মাদকের গডফাদাররা দেশ ত্যাগ করতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে কয়েকজন দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। মাদকের গডফাদারদের দেশ ত্যাগ ঠেকাতে দেশের বিমানবন্দরগুলো ও সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে বিদেশ পালাতে যেয়ে এখনো বড় ধরনের মাদক ব্যবসায়ী ধরার পড়ার কথা পুলিশ জানায়নি। ইত্তেফাক অবলম্বনে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়