শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ২১ মে, ২০১৮, ০৮:১৩ সকাল
আপডেট : ২১ মে, ২০১৮, ০৮:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নাটোরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতারণার অভিযোগ!

কামাল হোসেন: নাটোর সদর উপজেলার ইয়াসিনপুর মহাবিদ্যালয় ও ইয়াসিনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সদ্য এসএসসি পাশ শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের পছন্দের কলেজে ভর্তির আবেদন করতে না দিয়ে অভিনব প্রতারণা ও জোর-জবস্তির অভিযোগ করেছেন নাটোর সদর উপজেলার ই্য়াসিনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সদ্য এসএসসি পাশ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। এমনকি না জানিয়ে শিক্ষার্থীদের তথ্য উপাত্ত অনলাইনে ভর্তির আবেদন শিক্ষকরাই করেছেন বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানিয়েছেন।

এব্যাপারে গত ১৫ মে নাটোর জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন কৈগাড়ী কৃষ্টপুর এলাকার বাসিন্দা ও সদ্য এসএসসি পাশ শিক্ষার্থী মোঃ রকি আহমেদ। ইয়াসিনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় সকল ছাত্র-ছাত্রীদের এডমিট কার্ড নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতারণার অভিযোগ করেছেন জেকের আলী, হোসেন আলী, মামুন মোল্লা, বাক্কার আলীসহ অনেক শিক্ষার্খী ও অভিভাবক।

নাটোর জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনে সদ্য এসএসসি পাশ শিক্ষার্থী মোঃ রকি আহমেদ অভিযোগ করেন, গত ১২ মে আমার (রকির) অনুপস্থিতিতে আমার মাকে ভুল বুঝিয়ে মূল এডমিট কার্ড ইয়াসিনপুর মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়ে যান। পরে ইয়াসিনপুর মহাবিদ্যালয়ে এডমিট কার্ড ফেরৎ আসতে গেলে অধ্যক্ষ ফেরৎ না দিয়ে বলে তুমি নাটোরের কোন কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। নাটোরের বাহিরে কোন কলেজে ভর্তি হতে হবে।

রকি আহমেদ আরো অভিযোগ করেন, এইচএসসিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে গেলে জানতে পারি, আমার এডমিট কার্ড ব্যবহার করে নাটোরের বাহিরের একটি কলেজে আগেই কেউ এক জন আবেদন করেছেন। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের নিকট পিন নাম্বার চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন।

এমতাবস্থায় শিক্ষাজীবন ব্যাহত হবার আশঙ্কায় কথা জানিয়েছেন সদ্য এসএসসি পাশ শিক্ষার্থী মোঃ রকি আহমেদসহ শিক্ষার্খী ও অভিভাবক। তারা নাটোর জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এব্যাপারে জানতে ফোন করলে ইয়াসিনপুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাজেদুর রহমান রিসিভ করেননি। তবে প্রভাষক রাকিবুল হাসান বলেন, দুই-একজনের ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছিল, তা আবার সমাধানও করা হয়েছে।

নাটোর জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন বলেন, এই ব্যাপারে অধ্যক্ষ সাজেদুর রহমানকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য দুই দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। ব্যর্থ হলে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এমন অনেক অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন অর রশীদ বলেন, প্রতিদিন ভুয়া আবেদনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ভর্তিচ্ছুদের না জানিয়ে আবেদন জালিয়াতি বলে গণ্য হবে। এ বিষয়ে ভর্তি নীতিমালায় শাস্তির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এমন জালিয়াতির জন্য প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল অথবা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন স্বীকৃতি বাতিল করা হবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ায় পর এসব প্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো উল্লেখ্য, গত ১৩ মে থেকে একাদশে অনলাইন ও এসএমএস-এর মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যা শেষ হবে ২৪ মে। তবে পুর্ননিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হবে, তাদের আবেদন আগামী ৫ ও ৬ জুন পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে। ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়