শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ২১ মে, ২০১৮, ০৮:১১ সকাল
আপডেট : ২১ মে, ২০১৮, ০৮:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আড্ডা বন্ধ করতেই হাতিরঝিলে কাঁটাতার!

ডেস্ক রিপোর্ট : কাঁটাতারে ঘেরা হাতিরঝিল! সীমানা দেয়ালে আগেই কোপ পড়েছিল কাঁটাতারের। এবার সংযোগ সেতুগুলোয়। সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি সেতুর ওপরে সংযুক্ত কাঁটাতার বিপদের কারণ হতে পারে, তা যে কেউই অনুমান করতে পারেন।
কিন্তু উপায় কী? দিনের আলোয় অসভ্যতা! প্রকাশ্যে আলিঙ্গন! নেশা, ছিনতাই, দুর্ঘটনা সবই চলে এখানে। সড়কের মাঝে গাড়ি থামিয়ে আড্ডা। সে আড্ডার সময় গড়িয়ে যেত মধ্যরাতেও। অসভ্যতায় থেমে থাকেনি স্কুলপড়ুয়ারাও। স্কুল-কলেজের পোশাক পরেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন। বিব্রত পথচারী। বিব্রত গাড়ির যাত্রী।

হাতিরঝিলে সেতুগুলোর ওপর অস্বাভাবিক আড্ডা বন্ধ করতেই এবার কাঁটাতার লাগানো হচ্ছে। এর আগে সেতুগুলোর দু’পাশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছিল। রেলিং বসানো হয়েছিল মূল সেতুর ফুটপাত ও দেয়ালের ওপর। তাতেও কাজ হয়নি। দিন-রাত আড্ডার ছলে নানা অপকর্ম চলে হাতিরঝিলে। ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত নিত্যদিন। নিরাপত্তারক্ষীরাও অপারগ হয়ে পড়ে দুর্বৃত্তদের কাছে। আবার সেতুর মাঝে বাইক বা গাড়ি থামানো থাকায় দুর্ঘটনা বা যাত্রীদের গতিও রোধ হত।

বিশেষ করে হাতিরঝিলের সেতুগুলোর ওপর তরুণ-তরুণীর অশোভন আচরণে বিব্রত হতেন যে কেউই। এ নিয়ে অভিযোগের অন্ত ছিল না। স্কুলড্রেস পরা কিশোর-কিশোরীদের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিতে দেখা যায় এখানে। ঝিলপাড়ের নিরাপত্তাকর্মীরা বারবার চেষ্টা করেও তাদের সরাতে পারেন না।

উপায়ান্তর না দেখে সেতুর রেলিং এবং ফুটপাতের ওপর কাঁটাতার লাগাচ্ছে হাতিরঝিল কর্তৃপক্ষ। এমনভাবে কাঁটাতার সংযুক্ত করা হচ্ছে, চাইলেও আর কেউ সেখানে বসতে বা দাঁড়াতে পারবে না।


শনিবার বিকেলে কাঁটাতার লাগানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন আব্দুল আলিম। তিনি বলেন, শুনেছি এখানে আড্ডা বন্ধ করতেই কাঁটাতার সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাতিরঝিল কর্তৃপক্ষ। এক সপ্তাহের মধ্যেই সবকয়টি সেতুতে কাঁটাতার লাগানোর কাজ শেষ হবে।
কথা শেষ না হতেই বাইক থামিয়ে এক যুযক কাঁটাতার লাগানোর কারণ জানতে চায় আলিমের কাছে। জবাব শুনে আফসোসের ভঙ্গিতে বলেন, আমরা ভালো কিছু দখলে রাখতে পারি না। গোটা রাজধানীর সৌন্দর্যের প্রাণ এখন হাতিরঝিল। অথচ ছিনতাই, দুর্ঘটনা, অসভ্যতা, ভীতির সৃষ্টি করেছে এখানে। এখন মুক্তি মিলছে কাঁটাতারেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিরঝিল প্রকল্প পরিচালক জামাল আখতার ভূঁইয়া  বলেন, ‘বেশ অাগেই কাঁটাতারের বেড়া বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। ছিনতাই, দুর্ঘটনাসহ নানা ঘটনার অভিযোগ অাসছে এখান থেকে। বিশেষ করে ছেলেমেয়েদের অাপত্তিকর অাড্ডার বিষয়টি নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করছেন। অামরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। রেলিং ঘেঁষে বসে কেউ যেন অযথা অাড্ডা দিতে না পারে, এ জন্যই কাঁটাতার বসানো হচ্ছে।’ সূত্র : জাগো নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়