আনন্দ মোস্তফা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের প্রতিবাদে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সকল দোকানপাঠ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে প্রকারান্তে অচল হয়ে পড়েছে কাশ্মীরের বড় একটি অংশ।
রাজধানী শ্রীনগরের মূল সড়কগুলো গতকাল ছিল প্রায় জনমানবশূন্য। পুলিশ ও প্যারামিলিটারি বাহিনীর সদস্যদের ছাড়া তেমন কারো আনাগোনা চোখে পড়েনি। মোদীর একদিনের সফর উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তার কথা জানিয়ে শনিবার সেখানে বন্ধ রাখা হয় উচ্চগতির মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা। এছাড়া শ্রীনগরের কিছু অংশে কারফিউ জারি করা হয়।
এসব উপেক্ষা করে সেখানকার স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো রাজ্যজুড়ে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা এএফপি'কে জানায়, ‘আমরা কোনো সুযোগ নিচ্ছি না। জঙ্গিদের ঠেকাতে আমরা সবকিছুই করব।’
এদিকে ভারত শাসনের বিরোধীতা করে ডাকা প্রতিবাদকে নস্যাৎ করে দিতে শ্রীনগরের উপশহর এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির সরকারি বাহিনী।
দক্ষিণ এশিয়ার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরের কিছু অংশ করে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখলেও উভয় দেশ পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।
১৯৮৯ সাল থেকে ভারত শাসনের বিরোধীতা করে আসা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা চায় হয় পাকিস্তানের অধীনে পুরো কাশ্মীর হবে অথবা নিজেরাই স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের ইতি ঘটলে কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর থেকে চলমান লড়াই-সংঘর্ষে হাজার হাজার কাশ্মীরি নিহত হয়েছেন। এএফপি
আপনার মতামত লিখুন :