শিরোনাম
◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞার থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আ.লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ফসফরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০১৮, ০৪:৪২ সকাল
আপডেট : ২০ মে, ২০১৮, ০৪:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সময়মতো পাঠ্যবই ছাপানো নিয়ে চ্যালেঞ্জে এনসিটিবি

ডেস্ক রির্পোট : এ বছর নির্বাচনের বছর। বছরের শেষ সময়ে নির্বাচনী পোস্টার, লিফলেট ছাপানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়বে ছাপাখানাগুলো। একই সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবই, নোট-গাইড ছাপারও মৌসুম। এ অবস্থায় বিনামূল্যের পাঠ্যবই যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, সরকারের বিগত সময়ের ধারাবাহিকতায় আগামী ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে জানুয়ারির প্রথম ক্লাসে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। এবার প্রায় ৩৭ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

ছাপাখানা ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনী বছর হওয়ায় অনেকটা চ্যালেঞ্জ হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বই তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছতে। কারণ, ইতোমধ্যে বছরের পাঁচ মাস পার হলেও এখনো বই ছাপানোর দায়িত্ব বণ্টনের জন্য দরপত্র শেষ করতে পারেনি এনসিটিবি। নির্বাচনের বছর হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের অন্তত তিন মাস আগে (সেপ্টেম্বর) সব বই স্কুলে বা উপজেলায় পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। প্রতিবছর প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কাগজবিহীন, কাগজসহ বিভিন্ন প্যাকেজে স্তরভিত্তিক দরপত্র আহ্বান করে থাকে বোর্ড। এসব বই

ছাপানোর কার্যাদেশ পর্যন্ত আরও দুই মাস লাগতে পারে। নির্ধারিত সময়ে বইয়ের কাজ শেষ করতে সময় থাকবে মাত্র দুই মাস। সবচেয়ে বড় ঝুঁকি বছরের শেষ সময়ে হরতাল-অবরোধের মতো আন্দোলন।

এ প্রসঙ্গে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান, প্রাথমিক স্তরের বইয়ের দরপত্র মূল্যায়নের পর্যায়ে রয়েছে। মাধ্যমিকের কিছু দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কোনটির মূল্যায়ন পর্যায়ে। কোনটি কার্যাদেশ দেওয়ার পর্যায়ে। তবে নির্ধারিত সময়ে বই দেওয়ার বাধ্যকতা রয়েছে। বোর্ডও সেইভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এনসিটিবির সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকের প্রায় ১১ লাখ বইয়ের দরপত্র নিয়ে জটিলতা হওয়ায় পুরো দরপত্র বাতিল হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক, এবতেদায়ি, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি, মাধ্যমিক দাখিল, মাধ্যমিক ভকেশনাল সব মিলিয়ে প্রায় ৩৭ কোটি বই ছাপানো, বাঁধাই, সরবরাহ, বিতরণের মহাকর্মযজ্ঞের এখনো দশ শতাংশই শেষ করতে পারেনি এনসিটিবি।

ছাপাখানার তথ্যানুযায়ী, আগামী নির্বাচন কেন্দ্র করে পোস্টার, লিফলেট ছাপানোয় ব্যস্ততা বেড়েছে। একই সঙ্গে জুলাই থেকে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে। এই স্তরের নোট-গাইড ছাপানোর মৌসুমও এখন। ছোট এবং মাঝারি মানের ছাপাখানাগুলো এসব নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, তাদের কাজের পরিধিও বাড়ছে। বাড়ছে ব্যস্ততা।

জানা গেছে, কাগজের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এই সময়ে কাগজের মূল্য বেড়ে যায়। ইতোমধ্যে সেই হাওয়া লেগেছে এনসিটিবির বই ছাপানোর দরপত্রে। কারসাজি করে কাগজের মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগে দরপত্র নিয়ে জটিলতাও সৃষ্টি হয়েছে। কাগজের মূল্য টনপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রককারী একটি চক্র এ কাজটি করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

ছাপাখানা মালিকদের অভিযোগ, এনসিটিবি বাস্তবতা ও বাজার যাচাই না করে টেন্ডারে কাগজের মূল্য নির্ধারণ করেছে। প্রতিবছরই পাঠ্যবই ছাপার সময় কাগজের দাম বাড়ে। এবারও বাড়ছে এবং বাড়বে। বিশ্বব্যাপী কাগজ তৈরির কাঁচামালের দাম বেড়েছে। তার প্রভাব পড়েছে কাগজের বাজারে।

শেখ হাসিনার সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রথমে নবম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিয়ে আসছে। এর আগে স্বল্প পরিসরে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা পেতেন বিনামূল্যের পাঠ্যবই। ১ জানুয়ারি সারা দেশে একযোগে উদযাপন হবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব। সূত্র : আমাদের সময়

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়